শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৪৪, ২৮ জুলাই ২০২৫

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৬৩

যুদ্ধবিরতির মধ্যেও গাজায় ইসরাইলি হামলায় নিহত ৬৩
ছবি: ইন্টারনেট

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তার জন্য ঘোষণা করা বিশেষ সামরিক বিরতির মধ্যেও হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। এতে অন্তত ৬৩ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ৩৪ জন ছিলেন ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ।

রোববার (২৭ জুলাই) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা এবং বার্তাসংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজার তিনটি এলাকায় প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সামরিক অভিযান স্থগিত রাখার ঘোষণা দেয়। মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানানো হয়েছিল।

সাময়িক যুদ্ধবিরতির আওতায় গাজার আল-মাওয়াসি, দেইর আল-বালাহ এবং গাজা সিটির নির্দিষ্ট এলাকায় অভিযান বন্ধ রাখার কথা জানিয়েছিল ইসরাইল। সেইসঙ্গে সকাল ৬টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খাবার ও ওষুধবাহী গাড়িবহরের জন্য নিরাপদ করিডোর খোলা থাকবে বলেও জানানো হয়েছিল।

তবে মানবিক বিরতির ঘোষণা সত্ত্বেও রোববার একাধিক স্থানে বিমান ও স্থল হামলা চালায় ইসরাইলি বাহিনী। নিহতদের মধ্যে নারী ও শিশুরাও রয়েছেন বলে জানিয়েছে স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।

মিশরের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন আল-কাহেরা নিউজ জানিয়েছে, একই দিন মিসরীয় সীমান্ত দিয়ে গাজায় ত্রাণ পাঠানো শুরু হয়েছে। এছাড়া, কিছু এলাকায় আকাশপথে ত্রাণ সরবরাহও শুরু করে ইসরাইল, যা তারা ‘মানবিক সহায়তা মিশনের অংশ’ হিসেবে দাবি করেছে।

জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সংস্থা (OCHA) গত বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, ইসরাইলি সামরিক বিরতির সিদ্ধান্ত গাজায় ত্রাণ সরবরাহে সহায়ক হতে পারে। তবে তারা অভিযোগ করেছে, পর্যাপ্ত বিকল্প রুট না দেওয়ায় কার্যকরভাবে ত্রাণ বিতরণ সম্ভব হচ্ছে না।

গাজার পরিস্থিতি দিন দিন আরও ভয়াবহ হয়ে উঠছে। চলমান অবরোধ, খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট এবং নিরবচ্ছিন্ন হামলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা।

সম্পর্কিত বিষয়: