শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৫৯, ৭ জুলাই ২০২৫

দালালচক্রের ফাঁদে লাখ লাখ টাকা খরচ করছে কুয়েতগামী শ্রমিকরা

দালালচক্রের ফাঁদে লাখ লাখ টাকা খরচ করছে কুয়েতগামী শ্রমিকরা

কুয়েত যাওয়ার আশায় বাংলাদেশি শ্রমিকদের গুনতে হচ্ছে সরকার নির্ধারিত খরচের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি অর্থ। চাঁদপুরের দেলোয়ার হোসেন ও কুমিল্লার ইকবাল হোসেনের মতো অনেকেই ৬ থেকে ৭ লাখ টাকা খরচ করে দালালের মাধ্যমে কুয়েতে পৌঁছেছেন। অথচ প্রকৃত ভিসা ফি মাত্র ৬ দিনার বাংলাদেশি টাকায় প্রায় আড়াই হাজার টাকা।

২০০৭ সালের পর কুয়েত শ্রমিক ভিসায় জারি হওয়া কড়াকড়ির সুযোগ নিয়ে সক্রিয় হয়ে ওঠে দালালচক্র। সীমিত ভিসার চাহিদা ও জটিলতার ফাঁকে তারা গড়ে তোলে একপ্রকার ‘বাজার’, যেখানে প্রতিটি ভিসার পেছনে আদায় করা হচ্ছে প্রায় ২ হাজার কুয়েতি দিনার (প্রায় ৮ লাখ টাকা)। বাস্তবে এর বড় অংশ চলে যাচ্ছে মধ্যস্বত্বভোগী দালালদের পকেটে।

বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতসহ প্রবাসী অধিকারকর্মীরা বলছেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশের নাগরিকদের তুলনায় বাংলাদেশিরা সবচেয়ে বেশি ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। কুয়েতে প্রতিদিন গড়ে ৪৫০টি ভিসা আবেদন সত্যায়নের জন্য আসে, যার এক তৃতীয়াংশ দক্ষ কর্মীর ভিসা।

বাংলাদেশের প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অতিরিক্ত অর্থ আদায়ের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে কার্যকর পদক্ষেপের জন্য ভুক্তভোগীদের লিখিত অভিযোগ ও তথ্য প্রদান অপরিহার্য বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়াতে প্রচারণাও চালানো হচ্ছে।