একটা সময় আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম: পূর্ণিমা

বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র পূর্ণিমা। ১১ জুলাই, তার জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক এই কিংবদন্তি অভিনেত্রীর পথচলার গল্প যেটি কেবল সাফল্যের নয়, ভালোবাসা, সংগ্রাম ও আত্মপ্রত্যয়েরও প্রতিচ্ছবি।
১৯৮৪ সালে চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে জন্মগ্রহণ করা দিলারা হানিফ পূর্ণিমা মাত্র ১৪ বছর বয়সে সিনেমায় পা রাখেন। ১৯৯৮ সালে ‘এ জীবন তোমার আমার’ ছবির মাধ্যমে তার বড় পর্দায় অভিষেক। সেই থেকে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি উপহার দিয়েছেন অসংখ্য স্মরণীয় সিনেমা যোদ্ধা, সন্তান যখন শত্রু, সুলতান, হৃদয়ের কথা, মনের মাঝে তুমি ইত্যাদি।
নায়ক রিয়াজ, মান্না, ফেরদৌস, শাকিব খানসহ সময়ের প্রায় সব বড় তারকার সঙ্গে পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন তিনি। শুধু সিনেমা নয়, নাটকেও তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।
পূর্ণিমার অর্জনের ঝুলিতে রয়েছে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিশেষ করে কাজী হায়াত পরিচালিত ওরা আমাকে ভালো হতে দিলো না* ছবির জন্য। নায়ক রাজ রাজ্জাকের মতো কিংবদন্তির সঙ্গেও কাজের অভিজ্ঞতা তাকে দিয়েছে মূল্যবান অনুপ্রেরণা।
তবে তাঁর যাত্রা ছিল না কেবল আলোয় মোড়ানো। মাঝেমধ্যে হতাশা, নিরবতা, নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার ঘটনাও ছিল। কিন্তু নিজের মতো করে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন উপস্থাপক হিসেবে, আবার ফিরে এসেছেন আলোচনায়।
পূর্ণিমা বলেন, ‘একটা সময় আমি হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। কিন্তু দর্শকদের ভালোবাসা আর মায়ের প্রেরণায় আবার ঘুরে দাঁড়াই।’
আজকের পূর্ণিমা নিজের সংসার, সন্তান ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়েই ব্যস্ত। অভিনয়ে ফিরলেও তা অনেক সীমিত। ২০২৩ সালে *আহারে জীবন* ছিল তাঁর সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা।
এখনো তাঁর ভক্তরা আশায় বুক বাঁধে আবার একদিন বড় পর্দায় ফিরে আসবেন তিনি, নতুন কোনো চরিত্রে, নতুন আলোয়।
জন্মদিনে পূর্ণিমা নিরিবিলিতে কাটাচ্ছেন পরিবারের সঙ্গে। ‘সবসময় চেয়েছি নিজের পরিবারকে সময় দিতে, এখন সেটাই করছি’, জানালেন তিনি।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের ইতিহাসে পূর্ণিমা কেবল একটি নাম নয়, এক সময়ের আবেগ, এক প্রজন্মের ভালোবাসা। জন্মদিনে শ্রদ্ধা, শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসায় পূর্ণ হোক তাঁর জীবন।