আমি উদার মুসলিম, আমার পরিবারে নামাজও হয়, পূজাও হয়: ইমরান হাশমি
বলিউড অভিনেতা ইমরান হাশমি ফিরছেন নতুন ছবিতে, যার নাম ‘হক’। এটি নির্মিত হয়েছে বাস্তব ঘটনার প্রেরণায়—১৯৮৫ সালের বহুল আলোচিত শাহ বানো মামলাকে কেন্দ্র করে। নারীর অধিকার, ধর্মীয় বিধান ও সাংবিধানিক ন্যায়ের টানাপোড়েনই ছবির মূল বিষয়। ইমরান হাশমি ও ইয়ামি গৌতম অভিনয় করেছেন যথাক্রমে মোহাম্মদ আহমেদ খান ও শাহ বানো বেগমের চরিত্রে, যেখানে আদালতের লড়াই ও সামাজিক সংঘাতের এক গভীর গল্প তুলে ধরা হয়েছে।
সম্প্রতি এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইমরান বলেন, নতুন প্রজন্ম হয়তো শাহ বানো মামলাটি সম্পর্কে জানে না। এই সিনেমা সেই ঘটনার অনুপ্রেরণায় তৈরি, যেখানে এক নারী নিজের মর্যাদা আর ভরণপোষণের জন্য আদালতে লড়েছিলেন। শাহ বানো বলেছিলেন, ‘আমি মুসলমান, তবে আমি একজন ভারতীয় নারীও।’
তিনি আরও বলেন, ‘এটি এমন একটি গল্প, যেখানে ধর্মীয় ব্যক্তিগত আইন ও সাংবিধানিক আইনের মধ্যে টানাপোড়েন দেখা যায়। আমরা কোনো সম্প্রদায়কে বিচার করছি না বা কাউকে দোষারোপ করছি না। ছবিটি নিরপেক্ষভাবে দেখিয়েছে এক নারীর ন্যায়বিচারের লড়াই।’
উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে ৬২ বছর বয়সী শাহ বানো ইন্দোর আদালতে মামলা করেন স্বামী মোহাম্মদ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে ভরণপোষণের দাবিতে। ১৯৮৫ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট শাহ বানোর পক্ষে রায় দেয়, যা পরবর্তীতে রাজনৈতিক চাপে রাজীব গান্ধী সরকার নতুন আইন এনে বাতিল করে দেয়।
সেই ঐতিহাসিক মামলার ভিত্তিতেই নির্মিত হয়েছে হক। সুপর্ণ এস ভার্মা পরিচালিত এই ছবিতে আরও অভিনয় করেছেন ভার্তিকা সিং, দানিশ হুসেইন, শিবা চাড্ডা ও আসিম হাতাঙ্গাড়ি। জঙ্গলি পিকচার্সের ব্যানারে নির্মিত ছবিটি প্রযোজনা করেছেন বিনীত জৈন, বিশাল গুরনানি, জুহি পারেখ মেহতা ও হারমান বাওয়েজা।
ছবিটি নিয়ে বিতর্কের আশঙ্কা থাকলেও ইমরান বললেন, ‘তাঁর কাছে হক একেবারেই ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গির কাজ, আমি নিজে একজন উদার মুসলিম। আমার স্ত্রী পারভিন হিন্দু, আমার পরিবারে নামাজও হয়, আবার পূজাও হয়। আমি জানি, কোনো সম্প্রদায়কে হেয় করা হলে আমি এই ছবির অংশ হতাম না। ছবিতে আমরা কারও ধর্ম বা বিশ্বাসকে আঘাত করিনি।’
ইমরান মনে করেন, হক শুধু মুসলিম সমাজ নয়, দেশের প্রতিটি নারী ও পুরুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এক গল্প।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























