রাজবাড়ীতে কবর থেকে মরদেহ তুলে আগুন, সংঘর্ষে নিহত ২
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তাঁর দরবারে হামলা চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়। ঘটনাকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে দুজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজ শেষে স্থানীয় ঈদগাহ ময়দানে তৌহিদী জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ করেন। পরে সমাবেশ থেকে মিছিল বের হয়ে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা চালায়। এতে দরবারের অনুসারীরা প্রতিরোধে নামলে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষ চলাকালে উত্তেজিত জনতা নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে এনে ঢাকা–খুলনা মহাসড়কের ওপর পুড়িয়ে ফেলে। এ ঘটনায় অন্তত ১০০ জন আহত হন। তাদের মধ্যে ২২ জনকে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে গুরুতর আহত ১৯ জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পথে দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা. এস. এম. মাসুদ।
তিনি জানান, আহতদের মধ্যে তিনজন স্বেচ্ছায় ফরিদপুর মেডিক্যালে চলে গেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলেও এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। স্বাস্থ্য বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
সংঘর্ষের সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের গাড়ি ও পুলিশের একটি পিকআপ ভাঙচুর করা হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা সদস্য ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব জানান, ‘পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়া হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে, দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’



























