যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক কমাতে সবুজ সংকেত, আশাবাদী বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে পাল্টা শুল্ক ইস্যুতে তৃতীয় দফা আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনার প্রথম দিনেই যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে শুল্ক কমানোর বিষয়ে আশাব্যঞ্জক ইঙ্গিত পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান।
তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধি দপ্তরের কর্মকর্তারা স্পষ্ট করেছেন যে, বাংলাদেশের ওপর আরোপিত পাল্টা শুল্ক কমানো হবে। তবে নির্দিষ্ট হারে কতটা শুল্ক কমবে, তা এখনো নিশ্চিত নয়।
আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে নেতৃত্ব দেন প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব নাজনীন কাউসার চৌধুরী ও ওয়াশিংটনে বাংলাদেশের দূতাবাসের শীর্ষ কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে আলোচনায় নেতৃত্ব দিচ্ছেন সহকারী ট্রেড রিপ্রেজেন্টেটিভ ব্রেন্ডন লিঞ্চ।
বৈঠকটি স্থানীয় সময় মঙ্গলবার দুপুর ১২:৩০ থেকে বিকেল ৫:৩০ পর্যন্ত ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে ৮ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র জানায়, ১ আগস্ট থেকে বাংলাদেশে ৩৫ শতাংশ পাল্টা শুল্ক কার্যকর হবে। বর্তমানে এ হার গড়ে ১৫.৫ শতাংশ। এই শুল্ক বৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশের রপ্তানি খাতে বড় ধাক্কার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শুল্ক কমানোর লক্ষ্যে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। ২৩ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের কাছে একটি অবস্থানপত্র পাঠানো হয়, যার ভিত্তিতে এ আলোচনা শুরু হয়েছে। আলোচনা সফল হলে মার্কিন বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করেছে, তারা শুধু রপ্তানি নয়, আমদানিও বাড়াবে। এর অংশ হিসেবে বোয়িং থেকে ২৫টি উড়োজাহাজ কেনা, ৫ বছরে প্রতি বছর ৭ লাখ টন গম আমদানির সমঝোতা এবং সয়াবিন, এলএনজি, তুলা ও সামরিক সরঞ্জাম আমদানির পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।
তৃতীয় দফা এ আলোচনা আগামী বৃহস্পতিবার শেষ হবে।