বুধবার, ০৬ আগস্ট ২০২৫

|২১ শ্রাবণ ১৪৩২

নেত্রকোনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:১১, ৬ আগস্ট ২০২৫

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধ, পৌর কর্মীর আঙুল বিচ্ছিন্ন

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে বিরোধ, পৌর কর্মীর আঙুল বিচ্ছিন্ন
ছবি: সদ্য সংবাদ

নেত্রকোনায় জমি নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে পৌরসভার একজন কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন পানি রক্ষণাবেক্ষণ শাখার কর্মী ইজ্জত খান রানা (৫১)। আহত অবস্থায় তার হাতের দুটি আঙুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নেত্রকোনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী মো. শাহনেওয়াজ জানান, আহত ইজ্জত খান রানা নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে এবং বিষয়টি তদন্তাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ইজ্জত খান রানার বাবা আলী হোসেন খানের নামে রেকর্ডকৃত একটি জমি দীর্ঘদিন ধরে দখলে রেখেছিলেন প্রতিবেশী মুঘল আজম খান ও শাহনূর খানের লোকজন। এ নিয়ে ২০০৮ সালে সালেহা বেগম নামের একজন আদালতে রেকর্ড সংশোধনের মামলা করেন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে আদালত মামলার রায় দেন ইজ্জত খানের পক্ষে।

রায়ের পর গত ৩ আগস্ট (রবিবার) বিকেলে ইজ্জত খান রানা জমিতে হাল চাষ করতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ ওঠে। এতে তার হাত মারাত্মকভাবে জখম হয় এবং দুটি আঙুলের অগ্রভাগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

আহত ইজ্জত খান নেত্রকোনা পৌরসভার পশ্চিম সাতপাই এলাকার মৃত আলী হোসেন খানের ছেলে।

অন্যদিকে অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে ভিন্ন দাবি করা হয়েছে। শাহনূর খান মোবাইল ফোনে জানান, “যে জমিতে ইজ্জত খান হাল চাষ করতে গিয়েছিল সেটি আমার চাচাতো বোন সালেহা বেগমের মালিকানাধীন। জমিটি কয়েকজনের কাছে বিক্রি হয়েছে। তার হাত কাটা কোনো মারধরের কারণে নয়, ট্রাক্টরের চেইনে হাত লেগে দুর্ঘটনাবশত আঙুল কেটে গেছে।”

এ বিষয়ে ওসি শাহনেওয়াজ বলেন, “ঘটনার তদন্ত চলছে। উভয় পক্ষের বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”