বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৪:৪২, ১২ জুলাই ২০২৫

মিটফোর্ড হত্যায় বিএনপিকে জড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান রিজভীর

মিটফোর্ড হত্যায় বিএনপিকে জড়ানোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান রিজভীর

মিটফোর্ডে পাথর মেরে হত্যার ঘটনায় বিএনপিকে জড়ানোর প্রচেষ্টার সমালোচনা করেছেন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘কিছু রাজনৈতিক দল এই নৃশংস ঘটনাকে বিএনপিকে কালার ও রঙচঙে বানাতে চাইছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো এই ঘটনার সঙ্গে বিএনপি জড়িত কোথায়?’

শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মহানগর উত্তরের ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

রিজভী জানান, ঘটনার পরপরই বিএনপি বা এর অঙ্গসংগঠনের নামে যাদের সংশ্লিষ্টতার তথ্য পাওয়া গেছে, তাদের রাতেই আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। তার ভাষায়, ‘বিএনপি একটি বৃহৎ দল, এতে হয়তো কোনোভাবে দুই-একজন দুষ্কৃতকারী প্রবেশ করতে পারে। কিন্তু তাদের চিহ্নিত করা মাত্রই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয় এবং এ বিষয়ে দল কখনোই কার্পণ্য করে না।’

তিনি বলেন, ‘সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজ বা দলের ভেতরে যদি কোনো অপরাধী থাকে, তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে হবে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানও বিএনপি গড়েছেন সেই নীতিতে—যেখানে দুষ্কৃতিকারীর রাজনৈতিক পরিচয় নয়, অপরাধই মুখ্য।’

রিজভী আরও বলেন, ‘যারা সংঘাত, রক্তপাত ও হত্যা ঘটায়, তাদের বিএনপিতে কোনো স্থান নেই। অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কিছু রাজনৈতিক দল মিছিল করে বিএনপির ওপর দোষ চাপিয়ে ফায়দা লুটতে চাইছে। তারা অতীত ভুলে গেলেও আমরা ভুলিনি। এতে কোনো লাভ হবে না।’

নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘অপরাধী কেউ যেন দলের মধ্যে ঢুকে মাথা চাড়া দিতে না পারে, সে বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে।’ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলে রিজভী বলেন, ‘আমি প্রশাসনকে ফোন করে অনুরোধ করেছি, যত প্রভাবশালীই হোক, অপরাধীর বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করুন। বিএনপি তার পক্ষ নেবে না। কিন্তু আপনারা কেন তা করছেন না? পুলিশ কমিশনার কী করছেন? নাকি আপনারা চান, এ ধরনের ঘটনা বাড়তে থাকুক এবং সব দায় বিএনপির কাঁধে চাপানো হোক?’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, সদস্য সচিব মোস্তফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীরসহ দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।