অপ্রয়োজনীয় সংকট নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলবে: মির্জা ফখরুল
দেশে ইচ্ছাকৃতভাবে অপ্রয়োজনীয় সংকট সৃষ্টি করা হয়েছে, যা দেশের গণতন্ত্রকে বিপদে ফেলবে এবং জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে জনগণের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চিত করে তুলবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে চীন-মৈত্রী সম্মেলনকেন্দ্রে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “আজ শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ ও চেতনার প্রয়োজন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষায় তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, সালাহউদ্দিন আহমদ, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সেলিমা রহমান ও ড. আব্দুল মঈন খানসহ দলীয় অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, “দেশের মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ব্যালটে ভোট দেওয়ার জন্য। কিন্তু নানা উপায়ে নির্বাচন অনুষ্ঠানে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। দেশের সব রাজনৈতিক দল জুলাই সনদ বাস্তবায়নে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ, তাহলে গণভোটের প্রয়োজন কেন? একে অপরের প্রতি আস্থা রাখার সময় এসেছে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “বাকশাল থেকে শুরু করে বাংলাদেশের ইতিহাসে গণতন্ত্রের অবক্ষয় ও প্রতিটি রাজনৈতিক দুর্ঘটনায় আওয়ামী লীগ জড়িত।”
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, “একটি মহল গণতন্ত্র ও জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠায় বাধা দিচ্ছে। বিএনপি গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতে চায় এবং সেই চেতনা ধারণ করেই দেশকে এগিয়ে নিতে চায়।”
ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, “৫ আগস্টের পরিবর্তন শুধু ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফল নয়; এর পেছনে রয়েছে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর দীর্ঘ ১৫ বছরের ত্যাগ ও সংগ্রাম।”



























