সুস্থ থাকলে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন খালেদা জিয়া: রিজভী
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে সুস্থ থাকলে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নেবেন বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি জানান, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বুলেটপ্রুফ গাড়ি কেনা হচ্ছে। যদি তাঁর শারীরিক অবস্থা অনুকূলে থাকে, তবে তিনি নির্বাচনী গণসংযোগে যোগ দেবেন।
আজ রোববার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে রিজভী এসব কথা বলেন।
দেশের বিভিন্ন স্থানে লাগাতার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে রিজভী বলেন, ‘জাতি গভীর শঙ্কায় রয়েছে। এত বড় বড় অগ্নিকাণ্ড কীভাবে ঘটছে? ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি আটকে রাখে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ—এটা কি কেবল আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, নাকি এর পেছনে কোনো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ষড়যন্ত্র লুকিয়ে আছে?’
তিনি আরও বলেন, ‘আজও নাকি চট্টগ্রামে একটি লঞ্চে আগুন লেগেছে। একের পর এক এই অগ্নিকাণ্ড নিছক কাকতালীয় নয়। এটি জাতিকে ভাবিয়ে তুলছে। এসব ঘটনা কি নাশকতার অংশ নয়? দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য একটি মহল সচেষ্ট। ভারত সেই চেষ্টায় বিভিন্ন সময়ে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সহায়তা দিয়েছে। তারা কখনোই চায় না বাংলাদেশে স্থিতিশীল সরকার গড়ে উঠুক। বরাবরই শেখ হাসিনার মতো অবৈধ সরকারকেই তারা সমর্থন দিয়ে এসেছে।’
রিজভী বলেন, ‘২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো বড় রাজনৈতিক দল অংশ নেয়নি, অথচ ভারতের কূটনীতিকেরা এরশাদকে সেই নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি করাতে এসেছিলেন। এটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বে সরাসরি হস্তক্ষেপের উদাহরণ।’
তিনি অভিযোগ করেন, সরকারের নির্বাচন আয়োজনের পরিকল্পনাকে ঘিরে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরির চেষ্টা চলছে। ‘আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নস্যাৎ করার পেছনে এক ধরনের ষড়যন্ত্র কাজ করছে। পরপর আগুন লাগার ঘটনাগুলো নিছক দুর্ঘটনা, না পরিকল্পিত, তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।’
জুলাই সনদ প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ‘ডেমোক্রেসির জায়গায় যদি মবোক্রেসি হয়, তাহলে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়,’ মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবকবিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপুসহ দলের অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।



























