অন্তর্বর্তী সরকার চাঁদাবাজদের সহায়ক: রুমিন ফারহানা
বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা বলেছেন, দেশজুড়ে চাঁদাবাজির সঙ্গে বিএনপির নাম জড়াচ্ছে উল্লেখ্য হলেও বাস্তবে দলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়ায় জনগণের মনোভাব নেতিবাচক করা হচ্ছে—এটি একটি কৌশল হিসেবে করছে অন্তর্বর্তী সরকার। সম্প্রতি এক টকশোতে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
রুমিন ফারহানা বলেন, দলের কাছ থেকে সাড়ে সাত হাজার নেতাকর্মী বহিষ্কার করা হয়েছে; তবে সব বহিষ্কারই চাঁদাবাজিতেই হয়নি। অনেক ক্ষেত্রেই শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলের নির্দেশ না মানা কিংবা অন্যান্য কারণ দেখা গেছে। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ফৌজদারি অপরাধে কেউ অপরাধী হলে বিএনপি কখনোই সরকারের কাছে বলবে না যে তার নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগ করা হবে না।
তিনি আরও বলেন, যেকোনো অপরাধ নিয়ন্ত্রণ করার দায়িত্ব সরকারকেই নিতে হবে। যদি কখনও বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজের নেতাকর্মীদের অপরাধকে পাশ কাটাতে চাইত, তবেই অভিযোগের যুক্তি দাঁড়াত কিন্তু সেই পরিস্থিতি বর্তমানে নেই। বাস্তবে চাঁদাবাজি রোধে দলের ব্যর্থতার দায় অনেকটাই সরকারের নীতিগত আচরণের ওপরও বর্তায় বলেও মত রাখেন তিনি।
রুমিন অভিযোগ করেন, সরকার ইচ্ছাকৃতভাবে চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ত্রুটিপূর্ণ ব্যবস্থা নিচ্ছে যাতে বিএনপির উপর সেই অপকীর্তির ছাপ বজায় থাকে। পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় বট আইডির মাধ্যমে দলের চরিত্রহননের চেষ্টা চলছে যা বিএনপি নিজেদের উদ্যোগে করছে না, এটি দলের পক্ষ থেকেও করা হয়নি, তিনি বলেন।
তিনি ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে দল নিজেই কঠোর ব্যবস্থা নেবে এবং আইনী ব্যবস্থাও নেয়া হবে। রুমিন উল্লেখ করেন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানও কয়েক মাস আগে কর্মীসম্মেলনে বলেছিলেন, সরকার গঠিত হলে এ ধরনের অভিযোগ থাকলে দলীয় ও আইনি পদক্ষেপ উভয়ই নেওয়া হবে।



























