আবারও জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান!
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সর্বোচ্চ নেতৃত্বের পদে এবারও পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই। দলীয় সূত্র বলছে, টানা তৃতীয়বারের মতো বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান পুনর্নির্বাচিত হতে পারেন। সংগঠনের ভেতরে ও বাইরে ইতিমধ্যেই এ বিষয়ে আলোচনা আরো জোরালো হচ্ছে।
দীর্ঘদিন ধরে দলের নেতৃত্বে থাকা এই চিকিৎসক নেতাকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াতের ভেতরে 'স্থিতিশীল নেতৃত্বের প্রতীক' হিসেবে দেখা হচ্ছে। এর আগেও দলটির ইতিহাসে অধ্যাপক গোলাম আযম ও মাওলানা মতিউর রহমান নিজামীও টানা তিন মেয়াদে আমির হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
জামায়াতে ইসলামীতে নেতৃত্ব নির্বাচনের প্রক্রিয়া সাধারণত এক মাসব্যাপী চলে এবং সদস্যদের গোপন ভোটের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। চলতি অক্টোবর মাস থেকেই জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই ভোটের ফল ঘোষণা করা হবে বলে জানা গেছে।
দলের এক নির্বাহী সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, 'আমাদের সংগঠনিক কাঠামো খুবই নিয়মিত ও ধারাবাহিক। নির্বাচন, দায়িত্ব হস্তান্তর বা নবনির্বাচন—সবই আমাদের অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়ার অংশ।'
দলটির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, আমির নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী নিয়ে একটি প্যানেল গঠন করা হয়। সদস্যদের ভোটে সেই তালিকা থেকেই পরবর্তী আমির নির্বাচিত হন।
সূত্র থেকে জানা যায়, এবারও প্যানেলে বর্তমান আমির ডা. শফিকুর রহমান থাকছেন নিশ্চিতভাবে। সম্ভাব্য অন্যান্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন দলের সিনিয়র নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ ও মিয়া গোলাম পরওয়ার। এবার প্যানেলে এম আজহারুল ইসলামের নাম নেই।
দলের সাবেক এক কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, 'জামায়াতে ইসলামীতে সাধারণত দায়িত্বে থাকা নেতার প্রতি সদস্যদের আস্থা অব্যাহত থাকে। নতুন কেউ প্রার্থী হলেও ভোটে তারা খুব একটা সুবিধা পান না।'
তিনি আরও বলেন, 'যদি কোনো স্বাস্থ্যগত সমস্যা না হয় বা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ না করেন, তাহলে আবারও ডা. শফিকুর রহমানকেই নেতৃত্বে দেখতে পাওয়া যাবে।'
জামায়াতের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো বলছে, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক অনিশ্চয়তার সময়ে ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বকেই অনেক সদস্য নিরাপদ ও ভারসাম্যপূর্ণ হিসেবে দেখছেন। ফলে আসন্ন নির্বাচনে তাঁর পুনর্নির্বাচন প্রায় নিশ্চিত বলেই মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।



























