রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৯:৫২, ৪ অক্টোবর ২০২৫

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না: মামুনুল হক

জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ঘরে ফিরব না: মামুনুল হক
ছবি: সংগৃহীত

খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, বর্তমানে আমাদের সর্বোচ্চ প্রায়োরিটি হলো জুলাই সনদের পূর্ণ বাস্তবায়ন। ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তা জুলাই সনদের ভিত্তিতেই হবে।

আজ শনিবার (৪ অক্টোবর) পুরানা পল্টনস্থ ফেনী সমিতি মিলনায়তনে সংগঠনের উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় নির্বাচিত সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

মামুনুল হক আরও বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরব না। যারা জুলাই সনদের আন্দোলনে নেই, তাদের সঙ্গে এই মুহূর্তে আমাদের কোনো রাজনৈতিক বোঝাপড়ার প্রশ্নই ওঠে না। আর জুলাই সনদের বাস্তবায়নের পথে যারা অন্তরায় হয়ে দাঁড়াবে, তাদের সঙ্গে কোনো প্রকার ঐক্যের সম্পর্ক আমাদের থাকতে পারে না।

তিনি বলেন, জুলাই সনদ যদি অবিলম্বে বাস্তবায়ন না হয়, তবে তা কেবল একটি কাগজের দলিল হিসেবেই থেকে যাবে। ভবিষ্যতের কোনো সরকার এটি বাস্তবায়ন করবে এমন ভরসা নেই। জুলাই বিপ্লবকে সার্থক করতে হলে জুলাই সনদ অবিলম্বে বাস্তবায়ন করতে হবে এবং এর ভিত্তিতেই আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া জরুরি।

প্রশিক্ষণ মজলিসে অংশগ্রহণকারী ডেলিগেটদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, মাঠে থেকে আন্দোলনকে সফলতার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছানো কর্মীদের দায়িত্ব। আমাদের টার্গেট ভিত্তিক কাজ করতে হবে। সংগঠনের প্রত্যেকটি নেতাকর্মীকে টার্গেট কেন্দ্রিকভাবে সংগঠিত ও পরিচালিত করতে হবে। বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস দুটি টার্গেটে কাজ করছে—একটি দীর্ঘমেয়াদী এবং একটি স্বল্পমেয়াদী।

তিনি বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস ঘোষিত জুলাই সনদের অবিলম্বে বাস্তবায়নসহ পাঁচ দফা দাবি সাধারণ মানুষের বোধগম্য ভাষায় উপস্থাপনের জন্য কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, এই দাবিগুলো দলীয় বা রাজনৈতিক সুবিধার জন্য নয়; বরং ফ্যাসিবাদের পথ রুদ্ধ করা এবং একটি সুন্দর, কল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠনের জন্য।

তিনি বলেন, দীর্ঘ মেয়াদে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করা; রাষ্ট্রে ও সমাজে সর্বত্র ইসলামী অনুশাসন কায়েম করা। আর স্বল্প মেয়াদে আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা এবং আনুগত্যশীল, সুশৃঙ্খল কর্মীবাহিনী তৈরি করা। সর্বপরি সকল পর্যায়ের জনশক্তিকে সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ