তিন মাস বেতন বন্ধ, অস্থায়ী শ্রমিকদের রেল ভবন ঘেরাও
টানা তিন মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ সহ চার দফা দাবিতে রেল ভবন ঘেরাও কর্মসূচি পালন করছেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অস্থায়ী (টেম্পোরারি লেবার রিক্রুটমেন্ট–টিএলআর) শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) সকাল থেকে রেল ভবনের সামনে অবস্থান করা শুরু করেন বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনরত শ্রমিকরা।
আন্দোলনরত শ্রমিকরা জানান, বেতন না পেয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা। বেতন না পাওয়ায় অনেকেই একবেলা খেয়ে দুই বেলা উপোস থাকছেন। পরিবারের সদস্যদের নিয়ে দুঃসহ দিন কাটছে তাদের।
এর আগে গত ১ আগস্ট ও ৫ অক্টোবর দুই দফায় রেল মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দেন শ্রমিকরা। তবে আশ্বাস দিয়েও তাদের পাওনা বেতন পরিশোধ করা হয়নি। শ্রমিকদের দাবি, বিভাগীয় কর্মকর্তারা ‘বাজেট অনুমোদন হয়নি’ অজুহাত দেখিয়ে বেতন দিতে দেরি করছেন, যা তাদের জন্য অত্যন্ত হতাশাজনক।
রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানকে দেওয়া এক চিঠিতে হুঁশিয়ারি করে বলা হয়, আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে তিন মাসের বকেয়া বেতন এবং নিয়মিত মাসিক বেতন প্রদানের সুনির্দিষ্ট ব্যবস্থা না নিলে ২১ অক্টোবর থেকে অনির্দিষ্টকালের অবস্থান কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবো। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন ঘটলে এর দায়ভার টিএলআর শ্রমিকদের নয়, বরং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের ওপর বর্তাবে।
শ্রমিকদের ৪ দফা দাবি:
১.তিন মাসের বকেয়া বেতন ও সম্প্রতি ২৫ এর নীতিমালার দৈনিক ভিত্তিতে ৩০ দিনে হিসাবে বেতন পরিশোধ করতে হবে।
২.প্রতিমাসের ১০ তারিখে কোন রকম বিলম্ব ছাড়া বেতন পরিশোধ করতে হবে।
৩. সব অস্থায়ী শ্রমিকের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রথা নিশ্চিত করতে হবে।
৪. নিরাপদ কর্মস্থল ও কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























