শহীদ আবু সাঈদের ছবি আঁকা টি-শার্ট পরে গাজার নিকট শহিদুল আলম

দৃকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও খ্যাতনামা আলোকচিত্রী শহিদুল আলম ইতালিতে পৌঁছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা কোয়ালিশনের 'মিডিয়া ফ্লোটিলা' অভিযানে যোগ দিয়েছেন; এই নৌবহর গাজায় চলমান নৃশংসতার সংবাদ প্রচারে এবং অবরুদ্ধ মানুষের পাশে দাঁড়াতে যাচ্ছে।
এই নৌবহরের উদ্দেশ্য ইসরায়েলের গাজা নৌবাধ বন্ধ করার চেষ্টা মোকাবিলা করে সেসম্পর্কিত তথ্য-সংকোচ ভাঙা এবং সেখানে মানুষের কষ্ট-দুর্বিষহ অবস্থার ছবি-খবর পৌঁছে দেওয়া। শহিদুল আলম মিডিয়া ফ্লোটিলায় প্রথম বাংলাদেশি প্রতিনিধি হিসেবে অভিমুখ বদলেন।
এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জিজ্ঞাসু ও আবেগঘন ভাষায় লিখেছেন—জুলাই মাসে নিহত শহীদ আবু সাঈদের ছবি যুক্ত টি-শার্ট পরে তিনি সেই ব্যক্তির স্মৃতি ধারণ করেছেন এবং বলেন, সেই মৃত্যু তার জন্য নতুন দরজা খুলে দিয়েছে। আলম জানান, আবু সাঈদ ১৬ জুলাই ২০২৪ সালে নিহত ছিলেন এবং তিনি ওই বছরের আন্দোলনের এক সংকটময় মোড় হিসেবে সেই ঘটনার গুরুত্ব তুলে ধরেন।
শহিদুল আলম বলেন, তিনি ওই ছবি আঁকা জামা পরেছেন সেই তরুণের সাহসের প্রতীক হিসেবে—যিনি পুলিশের সামনে উন্মুক্ত বুকে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, আজ যারা ফ্লোটিলায় রয়েছেন, তারা ফিলিস্তিনিদের অধিকার রক্ষার স্বার্থে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিচ্ছেন এবং বিশ্বজুড়ে তাদের সঙ্গে সহমর্মিতা আছে।
ফ্লোটিলার নাম 'গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা'—এতে অভিন্নভাবে চারশালেরও বেশি নয়, বরং প্রায় ৪০টির অধিক বেসামরিক নৌকা রয়েছে এবং সম্মিলিত যাত্রীসংখ্যা প্রায় ৫০০ জন; এতে সংসদ সদস্য, আইনজীবী, মানবতাবাদী কর্মীসহ সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও আছেন।
নৌবহর জানিয়েছে যে ৪০টিরও বেশি দেশের নিরস্ত্র নাগরিকরা এই অভিযানেই অংশ নিয়েছেন এবং এই শত্রুতাপূর্ণ পদক্ষেপে তাদের জীবন মারাত্মক ঝুঁকিতে থাকতে পারে; তবু তারা গাজামুখী যাত্রা চালিয়ে যাওয়ার সংকল্প ব্যক্ত করেছে।
রিপোর্ট অনুযায়ী, বর্তমানে নৌবহর গাজা উপকূল থেকে প্রায় ১২০ নটিক্যাল মাইল দূরে অবস্থান করছে, যেখানে ইসরায়েল নৌকাগুলোকে গাজায় প্রবেশ করাতে বাধা দেয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে; এগুলো আটকে না দিলে তারা বৃহস্পতিবার সকালে গন্তব্যে পৌঁছানোর আশা করছে। একই সময়ে ইতালি ও স্পেনের নৌবাহিনী সীমিত সমর্থন দিয়েছে, তবে বাকীর চূড়ান্ত নিলম্বন ও নিরাপত্তা বিষয়ক ব্যাপারে ভিন্ন নীতির কথা জানানো হয়েছে।