কাতারের ওপর নতুন আক্রমণ হলে প্রতিশোধমূলক হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কাতারের ওপর নতুন করে কোনো আক্রমণ হলে প্রতিশোধমূলক পাল্টা সামরিক পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে একটি নির্বাহী আদেশে সই করেছেন। এতে কাতারের বিরুদ্ধে আক্রমণকে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি হিসেবে গণ্য করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। বুধবার (১ অক্টোবর) আল জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

আদেশে বলা হয়, ইতিহাসের আলোকে ও বহিরাগত আগ্রাসনের ধারাবাহিক হুমকির কারণে কাতারের নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষাই যুক্তরাষ্ট্রের নীতি। কাতারের ভূখণ্ড, সার্বভৌমত্ব বা গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর যে কোনো সশস্ত্র হামলাকে যুক্তরাষ্ট্র তার শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখবে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক কিংবা প্রয়োজনে সামরিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে কাতার ও যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যুদ্ধমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং জাতীয় গোয়েন্দা পরিচালকের সমন্বয়ে কাতারের সঙ্গে তাৎক্ষণিক যৌথ পরিকল্পনা বজায় থাকবে, যাতে যেকোনো বিদেশি হামলার দ্রুত প্রতিক্রিয়া সম্ভব হয়। পাশাপাশি সব নির্বাহী বিভাগ ও সংস্থাকে আইনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এই আদেশ বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত মাসে ইসরায়েল দোহায় একটি ভবনে বোমা হামলা চালায়। দাবি করা হয়, এটি হামাস নেতৃত্বকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হয়। ওই ঘটনায় ফিলিস্তিনি প্রতিনিধিদলের কয়েকজন নিহত হন, যদিও শীর্ষ নেতারা প্রাণে বেঁচে যান। এ সময় একজন কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন।

ঘটনার পর ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু কাতারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। হোয়াইট হাউস থেকে যৌথ ফোনকলে ট্রাম্প ও নেতানিয়াহু কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আব্দুল রহমান বিন জসিম আল থানির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন।