শুক্রবার, ২৯ আগস্ট ২০২৫

|১২ ভাদ্র ১৪৩২

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৭:৩৭, ২৮ আগস্ট ২০২৫

হাসনাত-সারজিসকে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম

হাসনাত-সারজিসকে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম
ছবি: সংগৃহীত

বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারদের ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’-এর প্রতি সমর্থন জানিয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির (এনসিপি) দুই নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ আখ্যা দিয়েছে কারিগরি ছাত্র আন্দোলন, বাংলাদেশ। সংগঠনটি বলছে, তাদের এ বক্তব্য ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের স্বার্থবিরোধী ও বিভ্রান্তিকর।

এ নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বিকেলে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক সাব্বির আহমেদের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এনসিপি নেতারা যদি আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, তাহলে তাদের সংগঠনকে সম্পূর্ণভাবে বর্জন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।

কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা বলেন, পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের দাবি ও অধিকার আন্দোলনের বিপরীতে গিয়ে এনসিপি নেতারা যা বলেছেন, তা অনভিপ্রেত এবং ষড়যন্ত্রমূলক।

সংগঠনটি আরও জানিয়েছে, এই ধরনের বিতর্কিত বক্তব্য ভবিষ্যতে পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের মধ্যে উত্তেজনা ও অস্থিরতা তৈরি করতে পারে বলেও তারা আশঙ্কা করছেন।

হাসনাত-সারজিসকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে আলটিমেটাম

এতে বলা হয়, এনসিপি নেতা সারজিস আলম ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’র সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে গিয়ে ‘কোটা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। অন্যদিকে, হাসনাত আব্দুল্লাহ ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’র অযৌক্তিক দাবিকে ন্যায়সংগত বলে আখ্যা দিয়েছেন। আমরা এ ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন বক্তব্যের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।

এতে আরও বলা হয়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী দশম গ্রেড, এটি কোনো কোটা নয়। এটি একটি বিশেষায়িত পদ। এখানে প্রবেশের জন্য একমাত্র যোগ্যতা হলো ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি, যা ১৯৭৮ সালের রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও ১৯৯৪ সালের প্রধানমন্ত্রীর প্রজ্ঞাপনে রয়েছে।

হাসনাত ও সারজিসকে ক্ষমা চাইতে সময় বেঁধে দিয়ে কারিগরি ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উল্লেখ করেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে জানাতে চাই, আগামী কয়েক ঘণ্টার মধ্যে যদি প্রকাশ্যে ক্ষমা না চান, দেশের সব সরকারি-বেসরকারি পলিটেকনিক শিক্ষার্থী ও টিএসসি শিক্ষার্থী এবং ডিপ্লোমা প্রকৌশলীসহ তাদের পরিবার সম্পূর্ণরূপে এনসিপিকে বর্জন করবে।’