তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে কার্যকর সমাধান চায় আপিল বিভাগ: প্রধান বিচারপতি

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) জন্য রাজনৈতিক দল ও ছয় ব্যক্তির করা চারটি আবেদনের ওপর দ্বিতীয় দিনের শুনানি শুরু হয়েছে। বুধবার সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
শুনানির শুরুতে প্রধান বিচারপতি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে কার্যকর সমাধান খুঁজে বের করতে চায় আপিল বিভাগ, যাতে এ বিষয়টি আর বারবার রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অস্থিরতার কারণ না হয়।
২০১১ সালের ১০ মে আপিল বিভাগের সাত বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সংখ্যাগরিষ্ঠ মতামতের ভিত্তিতে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিল করেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল মঞ্জুর করেই এই রায় ঘোষণা করা হয়। এর পর গত বছরের অক্টোবরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রায়ের পুনর্বিবেচনা চেয়ে আবেদন করেন।
এর আগে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)-এর সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচ বিশিষ্ট ব্যক্তি একই আবেদন করেন। তারা হলেন—তোফায়েল আহমেদ, এম হাফিজউদ্দিন খান, জোবাইরুল হক ভূঁইয়া ও জাহরা রহমান। এছাড়া গত বছরের ২৩ অক্টোবর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানের ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে ১৯৯৮ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এম সলিমউল্লাহসহ কয়েকজন হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন। শুনানি শেষে ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট ওই সংশোধনীকে বৈধ ঘোষণা করে এবং রায়ের বিরুদ্ধে সরাসরি আপিল করার অনুমতি দেয়।
২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই-তৃতীয়াংশের বেশি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসে। তবে ২০১১ সালে ত্রয়োদশ সংশোধনী বাতিলের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সমাপ্ত করা হয়।