ডিফেন্স সিকিউরিটি অব এশিয়ার প্রতিবেদন
বাংলাদেশের জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান চুক্তি বানচালে সক্রিয় ভারত!

রাজধানীর উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে অন্তত ২০ জন নিহত এবং দেড় শতাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
সোমবার (২১ জুলাই) বেলা ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়নের কয়েক মিনিট পর বিমানটি বিধ্বস্ত হয় বলে জানায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
মর্মান্তিক এই ঘটনার পর চীনের তৈরি সাশ্রয়ী মূল্যের এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান নিয়ে দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে। কেন বাংলাদেশ বিমান বাহিনী এখনো পুরনো ও ঝুঁকিপূর্ণ বিমান ব্যবহার করছে এবং কেন আরও আধুনিক যুদ্ধবিমান সংগ্রহ করা হচ্ছে না এ নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে।
এরই মধ্যে সামনে এসেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের উচ্চপর্যায়ের একটি প্রতিনিধি দলের পাকিস্তান সফরের তথ্য। সেখানে তারা পাকিস্তানের বিমান বাহিনী প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন এবং পাকিস্তান-চীনের যৌথভাবে তৈরি অত্যাধুনিক জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান কেনার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেন বলে জানায় পাক সংবাদমাধ্যম ‘এক্সপ্রেস ট্রিবিউন’।
তবে বাংলাদেশ যেন এই যুদ্ধবিমান না কিনতে পারে, সে উদ্দেশ্যে প্রতিবেশী দেশ ভারত সক্রিয়ভাবে কাজ করছে বলে দাবি করেছে ‘ডিফেন্স সিকিউরিটি এশিয়া’। গত ২২ জুলাই প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ভারত জেএফ-১৭ ক্রয়কে শুধুই একটি সাধারণ প্রতিরক্ষা চুক্তি হিসেবে দেখছে না, বরং এটি দক্ষিণ এশিয়ার নিরাপত্তা কাঠামোর জন্য একটি সম্ভাব্য ঝুঁকি হিসেবে বিবেচনা করছে।
জেএফ-১৭ থান্ডার যুদ্ধবিমান পাকিস্তান অ্যারোনটিক্যাল কমপ্লেক্স (পিএসি) ও চীনের চেঙ্গদু এয়ারক্রাফট ইন্ডাস্ট্রি করপোরেশনের যৌথভাবে নির্মিত। সামরিক পরিভাষায় এটি একটি ‘মাল্টি-রোল ফাইটার জেট’। এই বিমান শত্রুর ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো, আকাশে লড়াই, ভূমির কাছাকাছি বোমাবর্ষণ, বিভিন্ন ঋতু ও সময়ের মধ্যে কার্যকরভাবে অভিযান চালানো এবং গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহে সক্ষম।