বুধবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

|১২ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

ঐকমত্য কমিশন ঐক্য নয়, অনৈক্য প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
‘দেশকে এগিয়ে নিতে ব্যক্তিচিন্তা বাদ দিয়ে জাতীয় অগ্রাধিকারকে তুলে ধরুন’
আ.লীগকে নির্বাচন ফিরিয়ে আনার সাহস জাপা কোথা থেকে পায়: নাহিদ ইসলাম
হাসিনা ফ্যাসিবাদের সূচনা করে ২৮ অক্টোবর : রিজভী কবির রিজভী
দুই বিমান হারিয়ে দক্ষিণ চীন সাগর থেকে মার্কিন রণতরি যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যাচ্ছে
নির্বাচনে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে দ্রুত বডি-ওর্ন ক্যামেরা কেনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের সুপারিশ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের
সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট নয়: বিএনপি
সেনাপ্রধানের সঙ্গে পাকিস্তানের জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যানের সাক্ষাৎ
আওয়ামী লীগ ২০১৪ সালের পর দেউলিয়া হয়ে গেছে: মাহফুজ আলম
নিজেই সাজিয়েছেন নিজের অপহরণের নাটক: জিএমপি
ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করল ভারত

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ০১:৫০, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

গাজায় বোমবর্ষণ শুরু করেছে দখলদার বাহিনী, শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলার শব্দ 

গাজায় বোমবর্ষণ শুরু করেছে দখলদার বাহিনী, শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণ-ড্রোন হামলার শব্দ 
ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু গাজা উপত্যকায় ‘শক্তিশালী’ সামরিক হামলার নির্দেশ দিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে।

এই নির্দেশ এমন এক সময় এলো, যখন নেতানিয়াহু অভিযোগ করেছেন হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি ‘স্পষ্টভাবে লঙ্ঘন’ করেছে। তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম দপ্তর জানিয়েছে, ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির পর থেকে ইসরায়েল অন্তত ১২৫ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে, যার মধ্যে ৯৪ ফিলিস্তিনির প্রাণহানিও রয়েছে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকর থাকা সত্ত্বেও গাজাজুড়ে বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছে। আল জাজিরার গাজা সিটি প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানান, ‘এই নিরবচ্ছিন্ন বিস্ফোরণ যুদ্ধবিরতির কতটা ভঙ্গুর তা ক্রমাগত মনে করিয়ে দিচ্ছে।’

২০২৩ সালের অক্টোবরে শুরু হওয়া ইসরায়েলের গাজা অভিযান এখন পর্যন্ত অন্তত ৬৮ হাজার ৫২৭ জন ফিলিস্তিনির প্রাণ কেড়েছে এবং আহত হয়েছে ১ লাখ ৭০ হাজার ৩৯৫ জন। একই সময়ে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বে ইসরায়েলে পরিচালিত হামলায় ১ হাজার ১৩৯ জন নিহত হয় এবং প্রায় ২০০ জনকে বন্দি করা হয়।

বৈরুতভিত্তিক আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বেইরুটের জননীতি বিশেষজ্ঞ রামি খুরি বলেন, ইসরায়েলের এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যের অনেক বিশ্লেষকের কাছেই অনুমিত ছিল।

তিনি আল জাজিরাকে বলেন, ‘মূল ইস্যুটি হলো নেতানিয়াহু ও ট্রাম্পের সম্পর্ক, এবং ইসরায়েলি ও মার্কিন সরকারের পারস্পরিক অবস্থান।’

খুরির মতে, গাজায় হামাস বর্তমানে ‘অত্যন্ত দুর্বল অবস্থানে রয়েছে’ এবং তারা যুদ্ধবিরতির নিয়মাবলি যথাসম্ভব মেনে চলছে, লড়াইয়ে জড়ানোর কোনো অভিপ্রায় তাদের নেই। তিনি আরও বলেন, ইসরায়েলের এই হামলা ‘মার্কিন কূটনীতির জন্য একটি পরীক্ষা।’

‘এখন আমাদের অন্তত ২৪ ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে, দেখতে হবে যুক্তরাষ্ট্র সরকার নেতানিয়াহুর ওপর কোনো চাপ প্রয়োগ করে কি না—এই ধরনের হামলা বন্ধ করার জন্য,’ বলেন খুরি।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, ‘মধ্যস্থতাকারী শক্তি তুরস্ক, মিসর ও কাতার এ ঘটনায় কী ভূমিকা নেবে, সেটিও এখন গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন।’

অন্যদিকে, আমেরিকান ইউনিভার্সিটির আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক উইলিয়াম লরেন্স বলেন, গাজায় ইসরায়েলের সর্বশেষ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্রের ট্রাম্প প্রশাসনও এখন বড় পরীক্ষার মুখে পড়েছে।

তিনি বলেন, ‘নেতানিয়াহুর সরকারের সামরিক পদক্ষেপ ওয়াশিংটনকে বাধ্য করবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে তাদের অঙ্গীকার স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করতে—বিশেষ করে যদি ইসরায়েল সীমিত বিমান হামলার বাইরে আরও বড় আকারে অভিযান শুরু করে।’

লরেন্স আরও সতর্ক করে বলেন, ‘সমস্যা হবে যদি নেতানিয়াহু তার জোট সরকারের কট্টর ডানপন্থি অংশের দাবির কাছে নতি স্বীকার করে আবার পূর্ণাঙ্গ যুদ্ধ শুরু করেন এবং গাজার কিছু এলাকা পুনর্দখলের চেষ্টা চালান। যদি তা ঘটে, তাহলে যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়বে।’
 

সর্বশেষ