গাজায় ‘তীব্র হামলা’ নির্দেশ নেতানিয়াহুর
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ‘শক্তিশালী ও তাৎক্ষণিক’ সামরিক অভিযান চালানোর নির্দেশ দিয়েছেন দখলদার ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) রাতে দীর্ঘ বৈঠক শেষে সেনাবাহিনীকে এ নির্দেশ দেন তিনি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে নেতানিয়াহুর দপ্তর।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সশস্ত্র সংগঠন হামাস যুদ্ধবিরতির চুক্তি ভঙ্গ করেছে, তাই গাজায় তাৎক্ষণিকভাবে কঠোর হামলা চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলের দাবি, হামাস জিম্মিদের মরদেহ ফেরত দিতে বিলম্ব করে চুক্তি লঙ্ঘন করেছে। অন্যদিকে হামাস অভিযোগ করেছে, ইসরায়েল নিজেই মরদেহ উদ্ধারে বাধা সৃষ্টি করছে।
নেতানিয়াহুর নির্দেশের আগেই মঙ্গলবার গাজার রাফা শহরে ব্যাপক গোলাগুলি ও বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে ওঠে এলাকা। মিসর সীমান্তবর্তী এ অঞ্চলে ইসরায়েলি সেনা ও ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের মধ্যে তীব্র গুলি বিনিময়ের খবর জানিয়েছে আল জাজিরা।
তবে গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিস জানায়, ১০ অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতিপরবর্তী দিনে ইসরায়েল অন্তত ১২৫ বার চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং এসময় অন্তত ৯৪ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন বলে তারা বলেছে। সেই সময়সীমায় সত্ত্বেও গাজার বিভিন্ন স্থানে বিস্ফোরণ ও ড্রোন হামলার শব্দ শোনা যাচ্ছিল আল জাজিরার গাজা প্রতিনিধিও এ পরিস্থিতি উদ্বেগজনক হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
স্থানীয় সময় বিকেলের দিকে রাফা ও খান ইউনিসের পূর্বাঞ্চলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণ শোনা যায়। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, এক ইসরায়েলি সেনা আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
নতুন হামলার আশঙ্কায় গাজার সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ও উদ্বেগ বাড়ছে। স্থানীয়রা আশঙ্কা করছেন, এই সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়তে পারে এবং দখলদার বাহিনী আবারও বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ শুরু করতে পারে।
এর আগের দিন, সোমবার, হামাস ইসরায়েলের কাছে একটি কফিনে বন্দি এক জিম্মির মরদেহের বাকি অংশ হস্তান্তর করে। ওই জিম্মির দেহাংশ ২০২৩ সালের নভেম্বরে গাজা থেকে উদ্ধার করেছিল ইসরায়েলি সেনারা।
তবে নতুন কোনো জিম্মির দেহ ফেরত না দিয়ে পুরোনো মরদেহের অংশ হস্তান্তর করায় ক্ষুব্ধ হয়েছে ইসরায়েল। তাদের অভিযোগ, হামাস এভাবেই যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে।
এই পরিস্থিতিতে নেতানিয়াহু মঙ্গলবার জরুরি নিরাপত্তা বৈঠকে বসে গাজায় সামরিক অভিযান জোরদারের নির্দেশ দেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল জাজিরা



























