বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ সর্বমিত্র চাকমার বিরুদ্ধে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সদস্য সর্বমিত্র চাকমার বিরুদ্ধে বামপন্থী শিক্ষার্থীদের ‘মেরে ঠ্যাং ভেঙে দেওয়ার’ হুমকির অভিযোগ তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটারবিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগের শিক্ষার্থী আবির হাসান।
আবির ডাকসু নির্বাচনে উমামা ফাতেমার নেতৃত্বাধীন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেল থেকে সদস্য পদে প্রার্থী ছিলেন। তিনি সিএসই বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে আবির অভিযোগ করেন, প্রক্টর অফিসে উপস্থিত অবস্থায় সর্বমিত্র চাকমা বামপন্থী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘স্যার, অনুমতি দিন, হলপাড়া থেকে ১০ জন নিয়ে গিয়ে তাদের ঠ্যাং ভেঙে দিয়ে আসি।’
আবিরের পোস্টটি পরবর্তীতে সর্বমিত্র নিজেই ফেসবুকে শেয়ার করে লেখেন, ‘আমি ১০ জন না, অন্তত ২০০ জনের মিছিল নিয়ে গিয়ে ঠ্যাং ভেঙে দিতে চেয়েছিলাম। আমার ক্যাম্পাসে গাঁজাখোররা মিছিল করবে, আমি চুপ করে থাকব?’ পরে অবশ্য পোস্টটি তাঁর টাইমলাইন থেকে সরিয়ে ফেলেন বা ‘ওনলি মি’ করে রাখেন।
‘আজকের পত্রিকা’র সঙ্গে কথা বলার সময় সর্বমিত্র স্বীকার করেন যে তিনি পোস্টটি শেয়ার দিয়েছিলেন, তবে বলেন, ‘আমি ঠ্যাং ভাঙার হুমকি দিইনি। ক্যাম্পাসে যারা মাদক ব্যবসা করে, তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের কথাই বলেছিলাম।’ৎ

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ঠ্যাং ভাঙা হুমকি সন্ত্রাসেরই বহিঃপ্রকাশ। তথ্য-প্রমাণ ছাড়াই ভিন্নমতাবলম্বীদের মাদক কারবারি বলা এক ধরনের ঘৃণ্য প্রপাগান্ডা।’
গত কয়েক দিন ধরে ঢাবি ক্যাম্পাসে অবৈধ দোকান ও হকার উচ্ছেদকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। ডাকসুর সমাজসেবা সম্পাদক এ বি জুবায়ের ও সদস্য সর্বমিত্র চাকমা প্রক্টরিয়াল টিমের সহযোগিতায় উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছেন, আর বামপন্থী সংগঠনগুলো হকারদের পক্ষে বিক্ষোভ করছে।
ঘটনাটি ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকে ডাকসুর সদস্যদের প্রশাসনিক ভূমিকা ও ‘মোরাল পুলিশিং’-এর বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন।
এ ছাড়া সোমবার (২৭ অক্টোবর) আবির হাসান বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর অফিসের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগ দাখিল করেন। তিনি লিখিতভাবে জানান, মোবাইল ফোন পরীক্ষা করা শিক্ষার্থীদের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী।



























