এবার পর্তুগালে নিষিদ্ধ হলো বোরখা!
ইউরোপের দেশগুলোতে একে একে বোরখা নিষিদ্ধের ধারায় যুক্ত হলো পর্তুগালও। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ডস ও অস্ট্রিয়ার পর এবার পর্তুগাল সরকার জনসমক্ষে মুখ ঢেকে রাখা পোশাক, বিশেষ করে হিজাব ও নিকাব নিষিদ্ধ করার একটি আইন প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
অতি ডানপন্থী সরকারের প্রস্তাবিত এই আইনে বলা হয়েছে, জনাকীর্ণ স্থানে এমন কোনো পোশাক পরা যাবে না যা মুখমণ্ডল সম্পূর্ণরূপে ঢেকে দেয় এবং ব্যক্তির পরিচয় শনাক্তে বাধা সৃষ্টি করে। সরকারের দাবি, জননিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং নাগরিকের পরিচয় শনাক্তকরণ সহজ করতেই এ আইন পাস করা হয়েছে। নিরাপত্তা-সংক্রান্ত কারণেই আইনটি উপস্থাপন করছে বলে জানিয়েছে পর্তুগাল সরকার।
তবে আইনটিতে কিছু ব্যতিক্রমের সুযোগ রাখা হয়েছে। ধর্মীয় অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী বা চিকিৎসাজনিত কারণে মুখ ঢাকার ক্ষেত্রে এই নিষেধাজ্ঞা প্রযোজ্য হবে না। তবে নিরাপত্তা-সংক্রান্ত প্রয়োজনে এসব ক্ষেত্রেও কর্তৃপক্ষের নির্দেশ মানতে হবে।
নতুন আইনে বিধান করা হয়েছে, কেউ আইন অমান্য করলে তাকে ২০০ ইউরো থেকে ৪,০০০ ইউরো পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে।
সংসদে অনুমোদনের পর আইনটি এখন সংবিধান ও মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় কমিটিতে পাঠানো হবে। সেখানে এর সাংবিধানিক বৈধতা এবং ধর্মীয় স্বাধীনতার ওপর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
আইনটি নিয়ে দেশটিতে রাজনৈতিক বিভাজন স্পষ্ট হয়েছে। সরকারি দল একে “নিরাপত্তা ও সামাজিক সংহতির জন্য অপরিহার্য পদক্ষেপ” বলে উল্লেখ করলেও, বামপন্থী দলগুলো একে ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ হিসেবে কঠোরভাবে সমালোচনা করেছে।
এর ফলে ইউরোপের আরও একটি দেশ জনসমক্ষে মুখ ঢাকা পোশাক নিষিদ্ধের তালিকায় যুক্ত হলো। এখন আটলান্টিক উপকূলের দেশ পর্তুগালও দাঁড়াল বোরখা নিষিদ্ধ ইউরোপীয় দেশগুলোর সারিতে।
হাফিজ আল আসাদ/এমটি



























