ফিলিস্তিন নামে কোন রাষ্ট্র হবে না: কাটজ

ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্তের তীব্র প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েল জানিয়ে দিয়েছে, তারা এমন কোনো ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের সুযোগ দেবে না, যা তাদের নিরাপত্তার জন্য হুমকি তৈরি করে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী কাটজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক বার্তায় বলেন, ‘আমরা এমন একটি ফিলিস্তিনি সত্তা তৈরি হতে দেব না যা আমাদের নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে, আমাদের অস্তিত্বকে ঝুঁকির মুখে ফেলে এবং ইসরাইলি ভূমিতে আমাদের ঐতিহাসিক অধিকারের লঙ্ঘন ঘটায়। এই গুরুতর হুমকি প্রতিরোধে আমরা ঐক্যবদ্ধ।’
তিনি ম্যাক্রোঁর সিদ্ধান্তকে ‘সন্ত্রাসবাদের কাছে লজ্জাজনক আত্মসমর্পণ’ এবং ‘খুনি ও ধর্ষক হামাসকে সমর্থন ও পুরস্কৃত করা’ বলে উল্লেখ করেন।
এর আগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুও ফরাসি প্রেসিডেন্টের ঘোষণার সমালোচনা করে বলেন, এটি ‘সন্ত্রাসকে পুরস্কৃত করার মতো এবং আরেকটি ইরানি প্রক্সির জন্ম দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করছে।’
বুধবার (২৪ জুলাই) রাতে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ঘোষণা দেন, প্যারিস জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সেপ্টেম্বর অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে।
তিনি বলেন, ‘আজকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ত্রাণ নিশ্চিত করা।’ একইসঙ্গে হামাসের নিরস্ত্রীকরণ এবং গাজার নিরাপত্তা ও পুনর্গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ম্যাক্রোঁ আরও বলেন, ‘অবশেষে আমাদের একটি কার্যকর ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গড়ে তুলতে হবে, যা হামাসকে নিরস্ত্র করবে এবং ইসরায়েলকে সম্পূর্ণ স্বীকৃতি দেবে।’
এর আগে গত ৯ এপ্রিল ফরাসি প্রেসিডেন্ট জানিয়েছিলেন, ফ্রান্স জুন মাসেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে পারে।
মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনার মধ্যে ইতোমধ্যে আয়ারল্যান্ড, স্পেন এবং নরওয়ে ২০২৪ সালে ফিলিস্তিনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে সোভিয়েত ইউনিয়ন যার উত্তরসূরি রাশিয়া ১৯৮৮ সালেই ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিয়েছিল।