রোববার, ১০ আগস্ট ২০২৫

|২৫ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য বিনোদন

প্রকাশিত: ১৫:৩৪, ১৩ জুলাই ২০২৫

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে করতে গিয়ে রেখা চেয়ার ভেঙে ফেলেন

ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে করতে গিয়ে রেখা  চেয়ার ভেঙে ফেলেন
ছবি: সংগৃহীত

বলিউডের ইতিহাসে রেখা এমন এক নাম, যার সৌন্দর্য ও অভিনয়ের মুগ্ধতা আজও অনিবার্য। সত্তরের ঘর পেরিয়ে এসেও তার রূপ-সৌন্দর্য ও ব্যক্তিত্ব দর্শকের মনে আগের মতোই দাগ কেটে যায়। শুধু অভিনয় নয়, নৃত্যে পারদর্শী এই অভিনেত্রী একসময় বলিউডে রোমান্সের সংজ্ঞাকেই নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছিলেন।

রেখার সিনেমার সঙ্গে পথচলা শুরু হয় ১৯৫৮ সালে, শিশু শিল্পী হিসেবে দক্ষিণী চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে। তবে বলিউডে তার আসল উত্থান ঘটে সত্তরের দশকে। বিশেষ করে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তার জুটি একসময় আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসে, যা রেখার ক্যারিয়ারে নতুন মোড় এনে দেয়। ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেই তিনি নিজেকে চরিত্রের ভেতরে পুরোপুরি বিলীন করে ফেলতেন। বিশেষত রোমান্টিক দৃশ্যে তার বাস্তবধর্মী অভিনয় দর্শককে বিভ্রান্ত করত যেন পর্দার প্রেমই বাস্তব হয়ে উঠেছে।

তবে এই বিশ্বাসযোগ্য অভিনয়ই মাঝেমধ্যে রেখাকে বিতর্কের মুখে ফেলেছে। ১৯৯৭ সালে বাসু ভট্টাচার্যের পরিচালনায় মুক্তিপ্রাপ্ত ‘আস্থা ইন দ্য প্রিজন অফ কিং’ সিনেমায় রেখা অভিনয় করেন মানসী নামের এক গৃহিণীর চরিত্রে। সংসারের টানাপড়েন আর সামাজিক চাপে পড়ে যিনি যৌনকর্মীর জীবন বেছে নিতে বাধ্য হন। সিনেমায় ওম পুরীর সঙ্গে তার একাধিক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য এখনও বলিউড অঙ্গনে চর্চিত হয়ে আছে। শোনা যায়, একটি দৃশ্যের শুটিংয়ে এমন বাস্তবতার প্রকাশ ঘটে যে, চেয়ার ভেঙে যায় দুজনের ওজনের চাপে। অনেকেই মনে করেন, তারা চরিত্রে এতটাই ডুবে গিয়েছিলেন যে, নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।

এই দৃশ্য নিয়ে সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয় রেখাকে। তবে তিনি কখনো এই বিতর্কে নিজে থেকে কথা বলেননি। বরং এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘এই পর্যায়ে এসে আমি যে কোনো চরিত্রে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারি মা, যৌনকর্মী, খলনায়িকা  কিছুই অসম্ভব নয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘এক সন্তানের মা হয়ে একজন নারী যৌনকর্মী হতে পারে এ নিয়ে সমালোচনা হলেও তাতে আমার কিছু যায় আসে না।’

তবে পেশাদারিত্ব বজায় রাখলেও ক্যারিয়ারের শুরুতে একবার সহ-অভিনেতার আচরণে ক্ষুব্ধ হন রেখা। লেখক ইয়াসের উসমানের বই ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ অনুযায়ী, একটি ছবির শুটিংয়ে এক অভিনেতা তার অনুমতি ছাড়াই ঠোঁটে চুমু খেয়ে ফেলেন। সঙ্গে সঙ্গে আপত্তি জানান রেখা। যদিও ওই অভিনেতা দাবি করেন, চিত্রনাট্যের প্রয়োজনে তিনি তা করেছেন। পরিচালক অবশ্য বলেছিলেন, দৃশ্যটি নিয়ে আগেই জানানো হয়েছিল।