পরীমনির করা মানহানির মামলা খারিজ ট্রাইব্যুনালে

ডিজিটাল মাধ্যমে মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশের অভিযোগে চিত্রনায়িকা পরীমনি যে মামলা করেছিলেন, সেটি খারিজ করে দিয়েছে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিচারক মো. নূরে আলম মামলাটি বাতিলের আদেশ দেন।
মামলায় পরীমনি অভিযোগ করেন, পাঁচজন-তার সাবেক গৃহপরিচারিকা পিংকি আক্তার ও চারটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে জড়িত সাংবাদিকরা— তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়া ও মানহানিকর তথ্য ছড়িয়ে সামাজিকভাবে হেয় করার চেষ্টা করেছেন।
তবে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. জুয়েল মিয়া জানান, মামলাটি সাইবার নিরাপত্তা আইনের ২৮ ও ৩১ ধারায় করা হয়েছিল, যেটি বর্তমানে বিলুপ্ত। গত ২১ মে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নতুনভাবে ‘সাইবার সুরক্ষা অধ্যাদেশ’ জারি করে এবং আগের আইন বাতিল করে। নতুন আইনে উল্লিখিত ধারা না থাকায় মামলাটি খারিজ করা হয়েছে।
এ মামলার পটভূমিতে উল্লেখ রয়েছে, গৃহপরিচারিকা পিংকি আক্তার পরীমনির বাসায় কাজ করতেন এবং কাজের সময় কিছু অশান্তিপূর্ণ ঘটনা ঘটে। পরীমনির অভিযোগ, কাজ ছেড়ে যাওয়ার পর পিংকি গণমাধ্যমে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে তাঁর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছেন।
অন্যদিকে, পিংকি আক্তার নিজেও ২২ এপ্রিল পরীমনি ও তার সঙ্গী সৌরভের বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেন। পিংকির অভিযোগ অনুযায়ী, শিশু দেখাশোনার দায়িত্ব পালনের সময় পরীমনি তাঁর ওপর শারীরিক নির্যাতন করেন। তিনি ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশের সহায়তায় বাসা থেকে বের হন এবং পরে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
এই ঘটনায় পরীমনির করা মামলা খারিজ হলেও পিংকির মামলার তদন্ত চলমান রয়েছে। মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পিবিআইকে।
এই দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি মামলা ও অভিযোগে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা চলছে। আদালতের সিদ্ধান্তে পরীমনির মামলার অবসান হলেও পিংকির মামলার পরিণতি এখনো অনিশ্চিত।