যৌতুকের দাবিতে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতন
জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে যৌতুকের দাবিতে হাত-পা বেঁধে গৃহবধূকে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্বামীর পরিবারের বিরুদ্ধে। খবর পেয়ে পুলিশ অবরুদ্ধ নববধূকে উদ্ধার করেছে।
ঘটনাস্থল উপজেলার সাতপোয়া ইউনিয়নের বড় আদ্রা গ্রাম। গুরুতর অসুস্থ নববধূ জনি আক্তার (২০) কে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্র জানায়, বড় আদ্রা গ্রামের মোফাজ্জল সরকারের ছেলে মোশারফ হোসেন অন্তর এবং জুবের আকন্দের মেয়ে জনি আক্তারের বিয়ে হয়েছে ৯ সেপ্টেম্বর। বিয়ের পরপরই মোশারফ হোসেন অন্তরকে বাবা-মা ঢাকা পাঠিয়ে দেন। এরপর শ্বশুর মোফাজ্জল সরকার ও শাশুড়ি মরিয়ম বেগম তার অগোচরে নববধূর ওপর যৌতুক দাবি ও শারীরিক নির্যাতন চালাতে থাকেন।
নির্যাতিতা জনি আক্তার বুধবার হাসপাতালে অভিযোগ করেন, প্রেম করে বিয়ে হয়েছিলো স্বামী অন্তরের সঙ্গে। কয়েকদিনের মধ্যে স্বামী তাকে বাড়িতে রেখে গা-ঢাকা দেয় এবং কোনো খোঁজ রাখেন না। এ সুযোগে শ্বশুর-শাশুড়ি তার কাছে ১০ লাখ টাকার যৌতুক দাবি করেন। টাকা দিতে অস্বীকার করলে হাত-পা বেঁধে নির্যাতন করা হয়।
নির্যাতিতার বাবা জুবের আকন্দ বলেন, তিনি গরিব কৃষক, এত টাকা দিতে না পারায় মেয়ের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলত। শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের সদস্যরা পূর্বে বালিশ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধের চেষ্টাও করেছিলেন। পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।
সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে গৃহবধূকে উদ্ধার করে বাবা-মার কাছে হস্তান্তর করেছে। মামলার মাধ্যমে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



























