বৃহস্পতিবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

|১৩ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

‘একবিংশ শতাব্দীতে হাসিনার মতো বড় খুনি কেউ নেই’
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে শেখ পরিবার নাও থাকতে পারে, রয়টার্সের সাক্ষাৎকারে হাসিনা
ইমাম-খতিব হচ্ছেন সমাজের জ্ঞানী-প্রজ্ঞাবান মানুষ : এ্যানি
দক্ষিণ কোরিয়ায় ট্রাম্প! পরীক্ষামূলক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করলো উত্তর কোরিয়া
ট্রলারাসহ ৭ জেলেকে ধরে নিয়ে গেল আরাকান আর্মি
জ্যামাইকা লন্ডভন্ড করে কিউবার দিকে হারিকেন মেলিসা
নোট অব ডিসেন্ট উপেক্ষা জনগণের সঙ্গে প্রতারণা: মির্জা ফখরুল
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়ে যমুনায় উচ্চপর্যায়ের বৈঠক
এনসিপির নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের জোটের সংবাদটি শতভাগ মিথ্যা: রাশেদ খাঁন
যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করে ফের ইসরায়েলি হামলা, নিহত ৩৭

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ০০:২৫, ৩০ অক্টোবর ২০২৫

বয়স বাড়লে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বিছানায় ঘুমের পরিণতি ভালো নয়: গবেষণা

বয়স বাড়লে স্বামী-স্ত্রী আলাদা বিছানায় ঘুমের পরিণতি ভালো নয়: গবেষণা
ছবি: সংগৃহীত

সাম্প্রতিক সময়ে ‘স্লিপ ডিভোর্স’ বা দম্পতিদের আলাদা ঘরে ঘুমানোর প্রবণতা বেড়েছে। কেউ কেউ মনে করেন, এতে ঘুমের মান ভালো হয়, ক্লান্তি কমে এবং ঝগড়াও কমে। স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশে এমনকি একই বিছানায় দুটি আলাদা কম্বল ব্যবহার করা জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

কিন্তু তাইওয়ানের এক সাম্প্রতিক গবেষণা বলছে অন্য ঘরে ঘুমানো সব সময় সম্পর্কের জন্য ভালো নয়, বরং এটি মানসিক সুস্থতায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

ফক্স নিউজ জানিয়েছে, তাইওয়ানের উত্তরাঞ্চলে ৮৬০ জন বয়স্ক দম্পতিকে নিয়ে করা গবেষণাটি ‘বিএমসি পাবলিক হেলথ’ সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে। গবেষকরা সুখ, জীবন সন্তুষ্টি ও মানসিক পরিপূর্ণতার সঙ্গে ঘুমের ধরন ও অবস্থানের সম্পর্ক খুঁজে দেখেন। ফলাফলে দেখা যায়, আলাদা ঘরে ঘুমানো দম্পতিদের মানসিক সুস্থতা তুলনামূলকভাবে খারাপ।

গবেষকরা মনে করেন, বয়সে প্রবীণ দম্পতিদের জন্য একসঙ্গে থাকা বা একই বিছানা ভাগ করে নেওয়া মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ। ঘুমানোর জায়গা ‘একটি গুরুত্বপূর্ণ মনস্তাত্ত্বিক উপাদান’ যা দাম্পত্য সম্পর্কের সামগ্রিক সুখকে প্রভাবিত করে।

যুক্তরাষ্ট্রের র‍্যান্ড করপোরেশনের ঘুম-বিশেষজ্ঞ ড. ওয়েন্ডি ট্রোক্সেল বলেন, ‘ঘুমের ধরন ও সম্পর্কের মানসিক ঘনিষ্ঠতার মধ্যে গভীর যোগসূত্র রয়েছে। আলাদা ঘুমানো অনেক সময় মানসিক দূরত্ব বা সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারণে হয়। তবে এটি কারণ নাকি ফলাফল, তা স্পষ্ট নয়।’

তিনি আরও যোগ করেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বয়স্কদের ঘুম হালকা হয়, রাতে ঘুম ভেঙে যায় এবং গভীর ঘুমের পরিমাণ কমে। একাকিত্ব, বিষণ্নতা ও উদ্বেগ ঘুমের মান আরও খারাপ করে, যা আবার মানসিক স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটায়।

ট্রোক্সেল বলেন, একসঙ্গে ঘুমানো বা জড়িয়ে শোওয়া শরীরে অক্সিটোসিন হরমোন নিঃসৃত হয়, যা ভালোবাসা ও নিরাপত্তার অনুভূতি বাড়ায়, স্ট্রেস কমায় এবং ঘুমকে গভীর করে। তবে নাক ডাকা, বিছানায় নড়াচড়া বা শরীরের তাপমাত্রার পার্থক্য ঘুম ব্যাহত করলে মানসিক ভারসাম্যও নষ্ট হতে পারে।

তিনি উপদেশ দিয়েছেন, যেসব দম্পতি আলাদা ঘুমান, তারা ঘুমানোর আগে একসঙ্গে সময় কাটাতে পারেন আলাপ, হাসি বা বই পড়ার মাধ্যমে সম্পর্কের ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখা সম্ভব।

ড. ট্রোক্সেলের মতে, ‘সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর ঘুমের ধরন সেটাই, যা একসঙ্গে মানসম্মত ঘুম, আবেগের সংযোগ এবং দীর্ঘমেয়াদি সুখ নিশ্চিত করে।’

সম্পর্কিত বিষয়: