‘ভুখা মিছিল’ থেকে শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
শহীদ মিনার থেকে শুরু করে মাজার রোড পর্যন্ত শিক্ষকরা ভূখা মিছিল করেছে। মিছিল থেকে আন্দোলনরত শিক্ষকরা শিক্ষা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন। ক্লাস ছেড়ে বের হওয়া হাজারো শিক্ষক ও শিক্ষক সকালে খালি থালা-প্লেট হাতে মিছিল করেন, পুলিশ মিছিল আটকে দিলে পরিস্থিতি আরো তীব্র হয়।
আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, শিক্ষা উপদেষ্টা সিআর আবরার শিক্ষকদের সমস্যাগুলো গুরুত্বসহকারে নেওয়ায় ব্যর্থ হয়েছেন। তারা বলেন, সংকট নিরসনে এবং শিক্ষকদের দাবির বাস্তবসম্মত সমাধানে তিনি কোনো কার্যকর উদ্যোগ নেননি। বরং প্রশাসনিক কয়েকজনের নকশামাফিক কাজ করছেন।
কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে বিকেল সাড়ে তিনটায় যাত্রা শুরুর পর মিছিলটি মাজার রোডে পুলিশে আটকে দিলে শিক্ষকরা স্লোগান দিতে থাকেন। তাদের মুখ্য দাবি: শিক্ষা উপদেষ্টা যেন অবিলম্বে পদত্যাগ করেন এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী উভয়ের মর্যাদা ও অধিকার রক্ষায় বাস্তব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
নারায়ণগঞ্জ থেকে আসা শিক্ষক মো. কামাল হোসেন বলেন, 'পুলিশি বাধা ও হেনস্তা সত্ত্বেও আমরা আমাদের দাবির পক্ষে দৃঢ়। শিক্ষা উপদেষ্টা আমাদের সমস্যার উপেক্ষা করেছেন। তাই তাকে চলে যেতে হবে।
রাবেয়া খানম নামের অন্য এক শিক্ষক বলেন, 'শিক্ষকদের প্রতি উপেক্ষা ও অবহেলার প্রতিবাদে আমরা এখানে এসেছি; আবরার পদত্যাগ না করলে আন্দোলন আরো তীব্র হবে।'
শিক্ষক নেতারা উল্লেখ করেছেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানে শিক্ষার্থীরা মাঠে নেমেছিল এবং তখন শিক্ষকদেরও ভূয়সী সমর্থন ছিল; কিন্তু তারপর থেকে শিক্ষকদের দাবি ও মর্যাদা সুরক্ষায় কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। তারা বলছেন, আজকের অবস্থান সেই অনুপস্থিতির প্রতিবাদ।
অভিযোগ করেন শিক্ষকেরা যে, শিক্ষা উপদেষ্টা চেয়ারে বসে থেকে বিষয়গুলোকে অবমূল্যায়ন করছেন এবং প্রয়োজনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে ব্যবহার করে আন্দোলন দমানোর চেষ্টা করছেন। এতে শৃঙ্খলা রক্ষা না করে শিক্ষাব্যবস্থারই ক্ষতি হচ্ছে বলে তাদের অভিযোগ।
পরে পুলিশ মিছিল ছত্রভঙ্গ না করলেও শিক্ষা ভবনের সামনে পৌঁছানোর পথে বেশ কয়েকবার শিক্ষক ও পুলিশি বাহিনীর মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও কথাকাটাকাটি ঘটে। অবশ্য কোনো ধরনের বড় দমবন্ধ ঘটনা সংবাদ সংগ্রহের সময় রেকর্ড হয়নি।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিত হবেনা। তারা ঢাকা এবং তার আশেপাশের জেলা থেকে এসে শান্তিপূর্ণ কিন্তু জোরালো আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























