শুক্রবার, ২৪ অক্টোবর ২০২৫

|৭ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ০১:৪৫, ২১ অক্টোবর ২০২৫

জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ছেলের হাতে ক্ষত দেখে থানায় দিলেন মা

জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ছেলের হাতে ক্ষত দেখে থানায় দিলেন মা
ছবি: সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা জোবায়েদ হোসাইন হত্যা মামলায় নতুন মোড় নিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহভাজন মাহির রহমানকে তার মা নিজেই পুলিশের হাতে হস্তান্তর করেছেন।

মাহিরের মা, রেখা রহমান জানান, রবিবার রাতের সময় রক্তমাখা অবস্থায় ছেলে বাসায় ফেরে এবং তিনি তার স্বাস্থ্যের কারণ জানতে চান। পরে মাহির ব্যাখ্যা করে, পুরান ঢাকার আরমানিটোলা এলাকায় ঘটনার সময় তার হাতের ওপর আঘাত লেগেছে।

তিনি বলেন, ‘আজ সকালে ছেলেকে আমি নিজেই চকবাজার থানায় নিয়ে যাই। অপরাধ করেছে, তাই পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। অন্য ছেলে-কেও তো কেউ ভুলবেনা।’

থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, মাহিরকে থানায় আনা হয়েছে। তবে চকবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ঘটনার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করতে রাজি হননি। তিনি শুধু উল্লেখ করেছেন, এই ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং তদন্তের স্বার্থে তাদের নাম আপাতত প্রকাশ করা হবে না।

দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির লালবাগ বিভাগের উপকমিশনার মল্লিক আহসান উদ্দিন সামি বলেন, জোবায়েদ হত্যা মামলায় তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আগামীকাল (মঙ্গলবার) এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে।

জোবায়েদ হোসাইন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন এবং ছাত্রদলের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করতেন।

রোববার রাতের সময় পুরান ঢাকার আরমানিটোলার একটি বাসার সিঁড়ি থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি ওই বাসায় টিউশন পড়াতেন।

মাহিরের মা আরও জানান, ‘ওই সন্ধ্যায় জোবায়েদ টিউশনিতে যাওয়ার পথে মাহিরের সঙ্গে দেখা হয়। তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি ও ঝগড়া হয়, এবং একপর্যায়ে দুর্ঘটনাবশত জোবায়েদ নিহত হয়।’

তিনি বলেন, ‘আমার ছেলের সঙ্গে ওই মেয়ের (বর্ষা) দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ছোটবেলা থেকে তারা একসঙ্গে বেড়ে ওঠে। কিছুদিন আগে মেয়েটি সম্পর্ক শেষ করার সিদ্ধান্ত নেয়, এরপর থেকে তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়।’

সম্পর্কিত বিষয়: