তিস্তা

নদী কেড়ে নিয়েছে শৈশব ও নিরাপদ আশ্রয়

‎সকালবেলার স্নিগ্ধ আলো নদীর পানিতে পড়ছে, তবে দৃশ্যটা সৌন্দর্যের চেয়ে ভয়াল। ব্রহ্মপুত্রের খাড়া পাড় গিলে নিচ্ছে গাছপালা, ঘরবাড়ি আর মানুষের স্বপ্ন। কুড়িগ্রামের সদর উপজেলার চর যাত্রাপুর ইউনিয়নের বানিয়াপাড়ায় নৌকায় শুয়ে ছোট্ট ছেলে পারভেজ নদীর দিকে তাকিয়ে আছে। বয়স মাত্র আট, কিন্তু তার চোখে বয়সের চাইতে অনেক বড় প্রশ্ন- আবার যদি ভেঙে যায়, আমরা কোথায় যাবো?

৯২৫ কোটি টাকার সেতু উদ্বোধনের পরদিনই ক্যাবল চুরি

গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রামের মানুষের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটানো তিস্তা দ্বিতীয় সেতু উদ্বোধনের একদিন না পেরোতেই চুরি হয়েছে প্রায় ৩০০ মিটার বৈদ্যুতিক ক্যাবল। ফলে সন্ধ্যার পর থেকেই সেতুর ওই অংশ অন্ধকারে ঢেকে যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) বিকেলে সেতুর বাতি জ্বালানোর চেষ্টা করলে ক্যাবল চুরির বিষয়টি ধরা পড়ে। এর আগে বুধবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া সেতুটি উদ্বোধন করেন।

‎কুড়িগ্রামে নদীভাঙনে দিশেহারা মানুষ, নদীগর্ভে শতাধিক ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি

‎কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও তিস্তা নদীর তীব্র ভাঙনে ইতোমধ্যে বিলীন হয়ে গেছে উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লার হাট, রসুলপুর, কড্ডার মোড় এলাকার শতাধিক ঘরবাড়ি, আবাদি জমি ও গাছপালা। পাশাপাশি নাগেশ্বরী উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়নের চর দামালগ্রাম, চর নুচনি, ফান্দের চরসহ বিভিন্ন চরাঞ্চলও ভয়াবহ ভাঙনের শিকার হচ্ছে। একই সঙ্গে কুড়িগ্রাম সদর, চিলমারী, রাজারহাট, রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলার বেশ কিছু নদীপাড়ের গ্রামও ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে।

তিস্তার পানি বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে, নিম্নাঞ্চল প্লাবিত

উজান থেকে নেমে আসা ঢাল ও কয়েকদিনের টানা ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। আজ বুধবার (১৩ আগস্ট) দেশের সব থেকে বড় সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে নদীর পানি প্রবাহিত হচ্ছিল। তবে সকাল ৬টায় এ পয়েন্টে বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার ওপরে প্রবাহিত হচ্ছে। ওই পয়েন্টে বিপৎসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার কিন্তু এখন রয়েছে ৫২ দশমিক ২২ মিটার ।

তিস্তার পানি বাড়ছে, আতঙ্কে ৮৯ চরবাসী

ভারতের পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তা নদীর পানি হঠাৎ করে বাড়তে শুরু করেছে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে তিস্তার তীরে অবস্থিত ৮৯টি চরের মানুষজনের মাঝে। ইতোমধ্যে অনেক নিচু এলাকার ফসলি জমি তলিয়ে যেতে শুরু করেছে।

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষে চূড়ান্ত হবে: রিজওয়ানা

তিস্তা মহাপরিকল্পনা এ বছরের শেষ নাগাদ চূড়ান্ত হবে। এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ের কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন- পানি সম্পদ এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নদীর পানি বাড়ছে এবং শুক্রবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী ৮৯টি চরের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।