শুক্রবার, ০৮ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫২, ১১ জুলাই ২০২৫

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা

তিস্তা নদীর পানি বেড়ে বন্যার আশঙ্কা

ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকেই নদীর পানি বাড়ছে এবং শুক্রবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ২৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে নদী তীরবর্তী ৮৯টি চরের মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে।

স্থানীয়রা জানান, পানির যে গতিতে বৃদ্ধি হচ্ছে, তাতে যে কোনো সময় তিস্তার পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় অবস্থিত দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

তিস্তার চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা জানান, ভারতের উজানে পাহাড়ি ঢলের কারণেই হঠাৎ পানি বেড়েছে। এতে লালমনিরহাট, রংপুর, নীলফামারী ও কুড়িগ্রামের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল সাময়িকভাবে প্লাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

হাতীবান্ধার তিস্তা ব্যারেজ এলাকার বাসিন্দা বাহার উদ্দিন, কিসমত আলী ও সরাফত আলী বলেন, “আমরা নদী পাড়ের মানুষ, সবসময় আতঙ্কে থাকি। বন্যা, খরা, নদীভাঙনের সঙ্গে লড়াই করে জীবন কাটে।” তারা জানান, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন গজলডোবা গেট খরা মৌসুমে বন্ধ রাখা হয়, আর বর্ষা এলেই হঠাৎ হঠাৎ পানি ছেড়ে দিয়ে তিস্তার দুই পাড়ে দুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়। তাদের মতে, শুধু বৃষ্টির পানিতে বন্যা হয় না, মূলত ভারতের উজানের পানি ঢুকলেই ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

তিস্তা ব্যারেজ কন্ট্রোল রুমের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম জানান, উজানের ঢলের কারণে বৃহস্পতিবার রাত থেকে পানি বাড়ছে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত পানি বিপদসীমার নিচে থাকলেও পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে এবং ৪৪টি গেট খুলে দেওয়া হয়েছে পানি নিয়ন্ত্রণের জন্য।

তিস্তা ব্যারেজ প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরী বলেন, ‘বন্যার সম্ভাবনা থাকায় আমরা সতর্কতামূলক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছি।’

প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে বলে জানা গেছে।