বৃহস্পতিবার, ০৭ আগস্ট ২০২৫

|২২ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:৩১, ১২ জুলাই ২০২৫

নতুন স্বাধীনতা দিয়েছি, তারা ভেবেছে লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছে: নাহিদ

নতুন স্বাধীনতা দিয়েছি, তারা ভেবেছে লুটপাটের স্বাধীনতা পেয়েছে: নাহিদ
ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা বলেছিলাম নতুন স্বাধীনতা এনেছি, দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। কিন্তু কেউ কেউ ভেবেছে, এটি লুটপাট ও চাঁদাবাজির স্বাধীনতা। যদি কেউ এমনটি ভেবে থাকেন, তবে তারা ভুল করছেন। যেমন মানুষ ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমেছিল, তেমনি সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধেও রাজপথে নামতে হবে। সকলকে সে প্রস্তুতি নিতে হবে।

শুক্রবার রাতে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আগামী ৩ আগস্ট ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য জুলাই ঘোষণাপত্র অনুষ্ঠানে খুলনাবাসীকে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানান।

নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান ছিল নতুন বাংলাদেশের সূচনা। এই আন্দোলনকে টিকিয়ে রাখতে হবে। গণতন্ত্র, মানবাধিকার ও ইনসাফ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে এনসিপি এবং ছাত্র-তরুণেরা মাঠে আছে। আমাদের মাঠ থেকে সরানো যাবে না, যত ষড়যন্ত্রই করা হোক না কেন।

তিনি আরও বলেন, ভারতের স্বার্থ রক্ষায় রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন করে সুন্দরবন ধ্বংস করা হয়েছে। অথচ এই সুন্দরবন শত শত বছর ধরে আমাদের বদ্বীপ অঞ্চলকে রক্ষা করে এসেছে। তাই সুন্দরবন রক্ষায় সোচ্চার হতে হবে। শিল্পায়ন হবে, তবে সুন্দরবনকে রক্ষা করেই।

যশোর থেকে সড়কপথে পদযাত্রা শেষে এনসিপি নেতৃবৃন্দ সন্ধ্যায় খুলনায় পৌঁছান। মাগরিবের পর শুরু হওয়া পথসভা চলে রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত। উপস্থিত নেতাদের মধ্যে ছিলেন জুলাই শহীদ পরিবারের সদস্যরাও। পথসভাটি একপর্যায়ে জনসমাবেশে পরিণত হয়।

‘খুলনার মাটিতে পরিবর্তনের ডাক জুলাই পদযাত্রায় জাতীয় নাগরিক পার্টি’ এবং ‘পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে খুলনায় জাতীয় নাগরিক পার্টির জুলাই পদযাত্রা’ স্লোগানে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন এনসিপি আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, নাসির পাটোয়ারী, তাসনিম জারা, হাসানাত আব্দুল্লাহ, সারজিস আলম ও নুসরাত তাবাসসুমসহ কেন্দ্রীয় নেতারা।

বক্তারা ঘোষণা দেন, খুলনার ছয়টি সংসদীয় আসনে এনসিপি প্রার্থী দেবে এবং জনগণের রায় নিয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়া হবে। তারা বলেন, মুজিববাদী সংবিধান বাতিল করে নতুন সংবিধান রচনা করতে হবে, কারণ বর্তমান সংবিধান রাতের ভোট ঠেকাতে পারে না, বাকশাল প্রতিরোধ করতে পারে না। এজন্য ৫ আগস্টের আগেই জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন জরুরি।

তারা আরও বলেন, চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে খুলনার মানুষ অতীতেও সোচ্চার ছিল, এখনও আছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। পথসভা শেষে নেতৃবৃন্দ শিল্পাঞ্চল খালিশপুরের পিপলস গোল চত্বরে যান এবং সেখানে আরেকটি সমাবেশে অংশ নেন। রাতে তারা জুলাই শহীদ সাকিব রায়হানের পিতা-মাতার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।