শনিবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ২১:০৮, ৮ নভেম্বর ২০২৫

আ.লীগের চেতনায়, রক্তে এবং ডিএনএ-তে গণতন্ত্রের বীজ নেই: সালাউদ্দিন আহমদ

আ.লীগের চেতনায়, রক্তে এবং ডিএনএ-তে গণতন্ত্রের বীজ নেই: সালাউদ্দিন আহমদ

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, আওয়ামী লীগের জন্ম থেকে শেষ পর্যন্ত তাদের চেতনায়, রক্তে এবং ডিএনএ-তে গণতন্ত্রের বীজ নেই। শনিবার (৮ নভেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আয়োজন করা আলোচনা সভায় তিনি এসব মন্তব্য করেন। সভাটি জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, বাকশাল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিলুপ্ত করা হয়েছিল এবং প্রশাসনের কোনো স্তরেই গণতান্ত্রিক প্রতিনিধিত্ব ছিল না। এটি ছিল আওয়ামী গণতন্ত্রের উদাহরণ। তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান নিজেই এই প্রকৃতিকে প্রমাণ করেছেন, আর তার কন্যা শেখ হাসিনা তা আরও স্পষ্টভাবে প্রদর্শন করেছেন।

তিনি উল্লেখ করেন, যেখানে গণতান্ত্রিক পরিবর্তনের সব পথ বন্ধ থাকে, সেখানে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া কখনো না কখনো উন্মুক্ত হতে বাধ্য হয়। আওয়ামী বাকশালী সরকার সেই পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছিল, যা দেশের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য নতুন একটি মাধ্যম প্রয়োজনীয় করে তুলেছিল। ৭ নভেম্বরের ঘটনা প্রমাণ করে, যখনই প্রয়োজন হবে, দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।

সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, তৎকালীন সাংবিধানিকভাবে মাত্র ১৩ মিনিটের মধ্যে একটি অভ্যুত্থান সংঘটিত হয়েছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন তখনকার স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে সংবিধান সংশোধন করেন। চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার প্রবর্তিত হয়, যেখানে রাষ্ট্রপতি সরাসরি নির্বাচিত না হলেও নিজেকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছিলেন। সংশোধনী অনুযায়ী রাষ্ট্রপতির মেয়াদ ছিল পাঁচ বছর এবং একই সংসদকে বৈধ ঘোষণা করা হয়।

তিনি আরও বলেন, সংশোধনীর মাধ্যমে শেখ মুজিবুর রহমান ঘোষণা দেন যে সবাইকে একটি মাত্র দলে যোগ দিতে হবে। রাষ্ট্রপতি না হলে কেউ সংসদ সদস্য হিসেবে বিবেচিত হবেন না, বিচার বিভাগকেও রাষ্ট্রপতির অধীনে আনা হয় এবং রাষ্ট্রপতি যেকোনো ‘অসদাচরণ’-এর অভিযোগে কাউকে বরখাস্ত করতে পারবেন।

সালাহউদ্দিন আহমদ মন্তব্য করেন, যেখানে গণতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের অধিকার নেই, সেখানে অগণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া উৎসাহিত হয়, যা বিশ্ব ইতিহাসে বহুবার দেখা গেছে। তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতি সবসময় মিথ্যায় ভরপুর। শেখ মুজিব গণতান্ত্রিকভাবে বাকশাল কায়েম করেছিলেন, আর শেখ হাসিনা একই বাকশাল বাস্তবায়ন করতে চেয়েছেন গণতন্ত্রের মুখোশে, প্রহসনের ভোটের আড়ালে।