ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশকে ‘ঘোড়ার ডিম’ বললেন সিপিবি সভাপতি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশকে ‘অশ্বডিম্ব’ (ঘোড়ার ডিম) আখ্যা দিয়েছেন বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি সাজ্জাদ জহির চন্দন । তিনি বলেন, আট মাস আলোচনার পরও এই সুপারিশ কার্যকর হওয়ার প্রক্রিয়ায় যে জটিলতা তৈরি হয়েছে, তা উদ্বেগজনক।
শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস) আয়োজিত ‘পলিটিকস ল্যাব: পাবলিক ডায়ালগ’ শীর্ষক সংলাপে তিনি এ মন্তব্য করেন। তরুণ রাজনীতিকদের মধ্যে মতাদর্শভিত্তিক সংলাপ ও গণতান্ত্রিক চর্চা জোরদারের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই সংলাপে সহযোগিতা করে জার্মান ফাউন্ডেশন ফ্রেডরিখ এবার্ট স্টিফটুং (এফইএস)।
সিপিবি সভাপতি সাজ্জাদ জহির বলেন, ‘এই সংকটের জন্য ঐকমত্য কমিশনকে দায়ী করা যায়। সমাধান কী হবে? গণভোট কীভাবে হবে? জুলাই সনদ কার্যকর হবে কীভাবে? এ বিষয়ে কোনো স্পষ্ট দিকনির্দেশনা নেই। ৮৪টি পয়েন্টের মধ্যে ২০টিতে একমত হয়েছে, বাকিগুলোতে একমত হয়নি। তাহলে কোন বিষয়ে ভোট হবে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি, জুলাই সনদে স্বাক্ষর হয়েছে। এরপর সর্বশেষ সংস্কার কমিশন আবার নতুনভাবে ব্যবস্থা করছে। তারা বলছে যে নোট অব ডিসেন্ট থাকবে না, ভিন্নমত থাকবে না। কিন্তু আমার ভিন্নমত আছে—কেন তা থাকবে না?’
গণভোটের প্রসঙ্গে তিনি উল্লেখ করেন, ‘সংবিধানে গণভোটের কোনো নির্দিষ্ট বিধান নেই। আছে ১৪২ ধারা, যা নির্বাচিত সংসদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে তীব্র মতবৈষম্য থাকলে জনগণকে আহ্বান করার সুযোগ দেয়। তবে এই মুহূর্তে প্রস্তাবিত গণভোট সংবিধানসম্মত নয়।’
সিপিবি সভাপতি বলেন, এসব জটিলতা এড়াতে নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে গত বছরের অক্টোবর মাসে তারা প্রধান উপদেষ্টাকে সতর্ক করেছিলেন। কিন্তু ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে’ সরকার তা শুনেনি।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের সুপারিশ হস্তান্তর করার পর রাজনৈতিক অঙ্গনে তা নিয়ে নানা মতবৈষম্য দেখা দিয়েছে। সুপারিশে থাকা বিভিন্ন প্রশ্ন ও দলের আপত্তি, সনদ বাস্তবায়নের খসড়ার তফসিল না থাকা এবং গণভোটের সময় নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়েছে।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























