আল জাজিরার প্রতিবেদন
বাংলাদেশের পলাতক সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২০২৬ সালের নির্বাচন বয়কটের ডাক
ভারতে থাকা বাংলাদেশের নির্বাসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলছেন, তাঁর দল আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করলে কোটি কোটি ভোটার ভোটাধিকার হারাবে এবং দেশে বিভাজন বাড়বে। তাঁর কোটি কোটি সমর্থক ভোট বর্জন করতে পারে বলে তিনি সতর্ক করেছেন।
নির্বাসিত ৭৮ বছর বয়সী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে বর্তমানে মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলছে। ২০২৪ সালের আগস্টে ছাত্র-নেতৃত্বাধীন গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর পতন হয়। জাতিসংঘের মতে, ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার সময় দমনপীড়নে প্রায় ১,৪০০ জন নিহত হয়েছিলেন।
নোবেল জয়ী মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছে। তবে, জাতীয় নিরাপত্তার হুমকি এবং দলটির জ্যেষ্ঠ নেতাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের তদন্তের কারণ দেখিয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের সংশোধনী এনে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করেছে।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বুধবার ইমেলের মাধ্যমে পাঠানো মন্তব্যে হাসিনা বলেছেন: “আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করাটা শুধু অন্যায় নয়, এটা আত্ম-পরাজয়মূলক।” “কোটি কোটি মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে তারা ভোট দেবে না। আপনি যদি একটি কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা চান, তবে কোটি কোটি মানুষকে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারেন না।”
বাংলাদেশ যাদের নিবন্ধিত ভোটার সংখ্যা ১২ কোটি ৬০ লক্ষেরও বেশি, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ এবং প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর প্রাধান্য ছিল। এর আগে, জানুয়ারি ২০২৪ সালের নির্বাচন বিএনপি বর্জন করেছিল, কারণ তাদের শীর্ষ নেতারা হয় জেলে ছিলেন অথবা নির্বাসনে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ আওয়ামী লীগের উপর এই নিষেধাজ্ঞাকে "স্বৈরাচারী" বলে নিন্দা করেছে। দলটির অনুপস্থিতিতে, আগামী বছরের নির্বাচনে বিএনপি এগিয়ে থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। একই সাথে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির বৃহত্তম ইসলামি দল জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা বাড়ছে।
আসন্ন নির্বাচন নিয়ে রয়টার্সকে হাসিনা আরও বলেন, “আমরা আওয়ামী লীগের ভোটারদের অন্য কোনো দলকে সমর্থন করতে বলছি না।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা এখনও আশা করি যে শুভবুদ্ধির উদয় হবে এবং আমাদের নিজেদের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দেওয়া হবে।”
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























