বুধবার, ০১ অক্টোবর ২০২৫

|১৫ আশ্বিন ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৩:৪৭, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৪:১৯, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ড. ইউনূস পলিটিশিয়ানদের ‘ঢাল’ হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন: রুমিন ফারহানা

ড. ইউনূস পলিটিশিয়ানদের ‘ঢাল’ হিসেবে নিয়ে গিয়েছেন: রুমিন ফারহানা
ছবি: সংগৃহীত

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের যুক্তরাষ্ট্র সফরে বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপি নেতারা সঙ্গী হয়েছেন। এসময় বিমানবন্দরে হামলার শিকার হন এনসিপি নেতা আখতার হোসেন। এ নিয়ে সমালোচনায় বিএনপি নেত্রী রুমিন ফারহানা প্রশ্ন তোলেন, সরকার কেন রাজনৈতিক নেতাদের সফরে নিল, আর নিলেও তাদের নিরাপত্তা দিতে পারল না কেন?
 
সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের একটি টকশোতে হাজির হয়ে এসব কথা বলেন ‍বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন, ‘এই যে নিউইয়র্কে যে ঘটনাটা ঘটলো, আমার প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে সরকার বা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস তার টিমে তিনটা পলিটিক্যাল পার্টির রিপ্রেজেন্টেটিভ কেন নিয়ে গেলেন? তিনি কি এই পলিটিশিয়ানদেরকে একটা ঢাল হিসেবে ব্যবহারের চেষ্টা করলেন! যতবার তিনি বা তার ঘনিষ্ঠ লোকজন, তার সরকারে থাকা লোকজন দেশের বাইরে যায় প্রতিবারই কোন না কোনভাবে তাদেরকে হেনস্থার শিকার হতে হয়। এবং এই বিষয়টা তার ভালোভাবেই জানার কথা। তার পুরো টিমের খুব ভালোভাবে জানার কথা। কারণ অতীত অভিজ্ঞতাও তাই বলে।’
 
তিনি আরো বলেন, ‘যখন আপনি একটা টিমে যান সেই টিমের যিনি লিডার থাকেন টিম লিডার। এখানে আমাদের সরকার টিম লিডার। তার দায়িত্ব থাকে টিমের প্রতিটা মেম্বারের নিরাপত্তা এনসিওর করা। নরমালি আমরা যখন কোন টিমে যাই টিমের প্রত্যেকে কিন্তু একই দরজা দিয়ে বের হই। একই গেট ব্যবহার করি। একই সঙ্গে যার যার ট্রান্সপোর্টে উঠি। কিন্তু দুটো ভাগ হয়ে গেলেন উনারা। পলিটিশিয়ানদের নিয়ে যাওয়ার দরকারটা কি ছিল? ওনারা তো জানতেন যে এই ধরনের ঘটনা হতে যাচ্ছে। কারণ ক্রমাগত গত এক বছর ধরে বিভিন্ন জায়গায় ঘটনা ঘটেছে। সরকারের আশেপাশে যারা গেছে তাদের সাথে ঘটনা ঘটেছে। বাংলাদেশের কন্সুলেট আছে নিউইয়র্কে ওখান থেকে কি দূতাবাস থেকে কি কোনো খবর তারা জানতে পারে নাই কি হতে যাচ্ছে? কি হতে পারে আওয়ামী লীগের প্রিপারেশন? কেমন বা অন্য কোন দল সেখানে কিছু করতে পারে কিনা! এগুলো কি তারা জানতো না? যদি না জেনে থাকে এটা তাদের ব্যর্থতা।'

জামায়াতের দিকে সন্দেহের তীর দাগিয়ে রুমিন ফারহানা বলেন, ‘আমি যেটা খবর পেলাম যে ডক্টর মুহাম্মদ ইউনুস এবং সরকারের যারা গেছেন উনার সফরসঙ্গী হিসেবে তারা একটা হোটেলে আছেন, পলিটিশিয়ান যারা আছেন তারা ভিন্ন আরেকটা হোটেলে আছেন। তো পলিটিশিয়ান যারা গেছেন তারা আসলে কার গেস্ট? তারা তো এই বাংলাদেশ সরকারের গেস্ট। উনাদের দায় দায়িত্ব তো বাংলাদেশ সরকারকে বহন করতে হবে। আমরা আরো কিছু ব্যাপার দেখলাম। জামায়াতে ইসলামের যে দুজন নেতা গেছেন তাদের সমর্থক কর্মীসহ তারা একদিক দিয়ে বের হয়েছেন, আর বিএনপির মহাসচিব এবং এনসিপির যে দুজন রাজনীতিবিদ গেছেন তারা অন্য আরেকটা গেট দিয়ে বের হয়েছেন। বিএনপির নেতাকর্মীরা অপেক্ষা করলেন এক গেটে। অথচ বিএনপির মহাসচিব এবং এনসিপি এবং হুমায়ুন ভাই তারা ভিন্ন আরেকটা গেট দিয়ে বের হলেন। এই যে মিসকমিউনিকেশন, এর দায়টা কে নিবে? বিএনপি নেতাকর্মীরা তো ওয়েট করছিল। তারা ভিন্ন আরেকটা টার্মিনালে ওয়েট করছিল। বাট তারা তো ওয়েট করছিল। তারা নিশ্চয়ই কনস্ট্যান্ট যোগাযোগ রাখছিল দূতাবাসের সঙ্গে। কারণ এর বাইরে তো আসলে সরকারকে আর কার সঙ্গে বা তারা যোগাযোগ রাখবে? সেখান থেকে মিসইনফরমেশন গেল নাকি এয়ারপোর্ট থেকে মিসইনফরমেশন গেল! মিসইনফরমেশনটা কোথা থেকে গেল। যেখান থেকেই যাক না কেন সেটার পরিণতি খুব একটা সুখকর হয় নাই।’