শারদীয় দুর্গোৎসবের সমাপ্তি, চলছে বিসর্জনের প্রস্তুতি
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) বিজয়া দশমী। প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এই ধর্মীয় উৎসব। প্রতিটি মণ্ডপে প্রতিমা বিসর্জন উপলক্ষ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিরাপত্তা জোরদার করেছে।
বিজয়া দশমী উপলক্ষ্যে সকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বিভিন্ন আয়োজনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। গানের তালে তালে আনন্দ-উৎসব করতেও দেখা যায়। সকালে সমাপনী পূজা, তারপর মন্দিরে প্রণাম এবং সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন নারীরা। দেবীর চরণের সিঁদুর নিয়ে নিজেদের রাঙিয়ে তোলেন তারা।
রাজধানীর ১০টি ঘাটে বিসর্জন হবে দুর্গাপূজার ২৫৪টি মণ্ডপের প্রতিমা। বিসর্জন নির্বিঘ্ন করতে বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবির ৭ হাজার সদস্য। আর বিসর্জনের সময় নৌ-দুর্ঘটনা রোধে টহল দেবে নৌ-পুলিশ ও কোস্টগার্ড।
এবার রাজধানীর ২৫৪টি মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন হবে বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও তুরাগ নদীর ১০টি ঘাটে। সবচেয়ে বেশি হবে বিনাস্মৃতি স্নান, ওয়াইস ও নবাববাড়ি ঘাটে। এছাড়াও, লালকুটি, মিলব্যারাক, পোস্তগোলা শ্মশান, বসিলা ব্রিজ, আমিনবাজার ও আশুলিয়ার ধউরে বিআইডব্লিউটিসি ফেরিঘাটে হবে বিসর্জন।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ডিএমপি জানিয়েছে, রাজধানীর বেশিরভাগ মণ্ডপের প্রতিমা কড়া নিরাপত্তায় আনা হবে ঢাকেশ্বরীতে। সেখান থেকে শোভাযাত্রা নিয়ে যাবে বিনাস্মৃতি স্নান ঘাটে। আর বিসর্জন ঘিরে মোতায়েন থাকবে সাড়ে ৪ হাজার পুলিশ সদস্য। ঘাটগুলো আনা হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায়। স্ট্যান্ডবাই থাকবে বিশেসায়িত ইউনিট, সোয়ট, বোম্ব ডিস্পোজাল ও কে-নাইন ইউনিট।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























