শনিবার, ০৯ আগস্ট ২০২৫

|২৩ শ্রাবণ ১৪৩২

সদ্য সংবাদ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:২৪, ৬ জুলাই ২০২৫

আপডেট: ১৯:১৫, ৬ জুলাই ২০২৫

সুন্দরবনে তিন মাস মাছ ধরা ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ

সুন্দরবনে তিন মাস মাছ ধরা ও ভ্রমণ নিষিদ্ধ

সুন্দরবনে আগামী ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা এবং পর্যটক প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। মাছ ও বন্যপ্রাণীর প্রজনন ও বিচরণ নির্বিঘ্ন করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় কর্তৃপক্ষ।

বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের লক্ষ্যে ‘ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিং (আইআরএমপি)’-এর সুপারিশ অনুযায়ী প্রতিবছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত মাছ ধরা বন্ধ রাখা হয়ে থাকে। তবে এবার মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা একমাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে কার্যকর করা হয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে এই উদ্যোগ চলমান রয়েছে।

এই সময়ে সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ থাকবে এবং পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে যেকোনো ধরনের পাস ও পারমিট। বন বিভাগের নির্দেশনায় সুন্দরবনে প্রবেশের সব পথ বন্ধ থাকবে।

তবে এই সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় জেলে ও পর্যটনসংশ্লিষ্টরা। কয়েক হাজার জেলে পরিবার এই সময়ে বেকার হয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সুন্দরবনকেন্দ্রিক পর্যটনে যুক্ত ট্যুর অপারেটররা বলছেন, তিন মাসের নিষেধাজ্ঞায় পর্যটনের সঙ্গে জড়িত অন্তত ১০ হাজার পরিবারের জীবিকা হুমকিতে পড়বে এবং সরকারের রাজস্ব আয়েরও বড় অংশ হারানোর শঙ্কা রয়েছে।

সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের বন কর্মকর্তা রেজাউল করিম চৌধুরী জানান, জুন থেকে আগস্ট, এই তিন মাস বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুম। তাই সম্পদের স্বাভাবিক বর্ধনের স্বার্থে জেলেদের পাশাপাশি পর্যটকদের জন্যও প্রবেশ সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য টিকিয়ে রাখতে এই নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকর করা হবে বলে তিনি জানান।