‘৪০ ভাগ মানুষকে বাইরে রেখে গণতন্ত্র সম্ভব নয়’

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও টেলিভিশন উপস্থাপক জিল্লুর রহমান বলেছেন, জাতীয় পার্টিকে সরকার নিষিদ্ধ করেনি কিংবা তাদের কার্যক্রম স্থগিতও করেনি। দলের নেতারা বিভিন্ন জায়গায় কথা বলছেন, সেসব সংবাদ গণমাধ্যমেও প্রকাশিত হচ্ছে। কিন্তু তাদের রাজনীতি করার সুযোগ না দেওয়া গণতন্ত্রের জন্য অশুভ সংকেত।
সম্প্রতি নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
জিল্লুর রহমান বলেন, ‘জাতীয় পার্টি থাকবে না, আওয়ামী লীগ থাকবে না, ১৪ দলীয় জোট থাকবে না— তাহলে বাকিরা কোথায় যাবে? সবার ভোট যোগ করলে কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ ভাগ মানুষ দাঁড়ায়। দেশের ২০ বা ৩০-৪০ ভাগ মানুষকে বাইরে রেখে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করবেন কীভাবে? স্বাধীন মতপ্রকাশ নিশ্চিত করবেন কীভাবে?’
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানান তিনি। তার মতে, আক্রমণ কোনোভাবেই যৌক্তিক নয়। তবে একই সঙ্গে তিনি বলেন, রাজনৈতিক অফিস ভাঙচুর বা পুড়িয়ে দেওয়াও সমানভাবে অযৌক্তিক। তিনি বলেন, ‘আপনি পছন্দ করেন বা না করেন, গণতন্ত্র মানে হলো স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকা’।
তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনার আমলে সংবাদমাধ্যম, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও ভোটাধিকারের জন্য অনেক সংগ্রাম হয়েছে। ভোটাধিকার ও মতপ্রকাশ একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। জিল্লুর রহমান বলেন, ‘মানুষ যখন ভোট দেয়, তখনই সে তার মত প্রকাশ করে। ভোট দিতে না দিলে বিচার করবে কে? তখন তো শুধু আদালত বা নির্বাহী বিভাগ দিয়েই দেশ চালানো সম্ভব। কিন্তু সেটা গণতন্ত্র নয়’।
অপরাধীদের বিচারের প্রশ্নে জিল্লুর রহমান বলেন, ‘যারা অপরাধ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে যদি সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে, তবে তদন্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে আদালত বিচার করবে। কিন্তু সেই বিচার করতে পারে না নির্বাহী বিভাগ, নাগরিক বা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ। আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার কেবল আদালতের হাতে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, গণতন্ত্র টিকিয়ে রাখতে হলে বিরোধী মতকেও জায়গা দিতে হবে এবং আইনের শাসনের মাধ্যমে বিরোধ নিষ্পত্তি করতে হবে।