জাতীয় পুরস্কার নিতে গিয়ে মেরুদণ্ডে চিড়, ১০ ঘণ্টার অস্ত্রোপচার!
চলতি বছর ভাল ও মন্দ, দুই-ই দেখলেন পরিচালক অর্জুন দত্ত। এ বছর ‘ডিপ ফ্রিজ’ ছবির দৌলতে তাঁর মুকুটে জুড়েছে জাতীয় সম্মানের পালক। ওই এক মঞ্চেই বড় বিপর্যয়। পড়ে গিয়ে শিরদাঁড়ায় চিড়। সঙ্গে কোমরের স্নায়ুতে সমস্যা। দশ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর আপাতত সুস্থ তিনি। চিকিৎসকরা তাঁকে জানিয়েছেন, আগামী দিনে আর নীচু হয়ে বা ঝুঁকে মেঝে থেকে কিছু তুলতে পারবেন না তিনি। খবর: আনন্দবাজার
কেমন আছেন? পরিচালকের শারীরিক অবস্থার খবর নিতে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার ডট কম। তিনি জানিয়েছেন, এখন বাড়িতে বিশ্রামে রয়েছেন। বললেন, “আমি জ্যোতিষ মানি। শুনেছি, এ বছর কর্মফলের বছর। সেই অনুযায়ী ছবির জন্য বিশেষ সম্মানলাভ। কিন্তু শরীরের যত্ন না নেওয়ায় শয্যাশায়ী।” অর্জুনের মা গত দু’বছর ধরে প্রচণ্ড অসুস্থ ছিলেন। তাঁর দেখভাল করতে গিয়ে একেবারেই নিজেকে অবহেলা করেছেন, দাবি তাঁর।
পরিচালক অর্জুন দত্ত বলেন, “মায়ের অসুস্থতার সময় থেকেই আমার কোমরে সমস্যা। একটু বসে থাকলেই পায়ে ঝিঁঝিঁ ধরে। পাত্তা দিইনি। ওই অবস্থাতেই কাজ করে গিয়েছি। গোলমাল হল পুরস্কারের মঞ্চে উঠতে গিয়ে। পা পিছলে দুটো সিঁড়ি পড়ে গেলাম। ব্যস, শিরদাঁড়ায় চোট।” পরে এক্সরে-তে ধরা পড়ে শিরদাঁড়ায় ভাল মতো চিড় ধরেছে। তখনই চিকিৎসকেরা জানান, ক্ষতিগ্রস্ত অংশ স্টিলে মুড়ে দেওয়া হবে। আর ঝুঁকতে পারবেন না অর্জুন। বলতে বলতে হেসে ফেলেছেন। বলে উঠেছেন, “নিজেকে নিয়ে রসিকতা করতে ভালবাসি। তখনই নিজের পিঠ চাপড়ে বলেছিলাম, শিরদাঁড়া শক্ত ছিলই, স্টিলের পাতে মোড়ার ফলে আরও শক্তপোক্ত হয়ে গেল। আগামীতে আমিও ‘ঝুঁকেগা নহি’!”
তিনি আরো জনান, আপাতত নিয়ম করে ফিজিওথেরাপি চলছে। এখনও অস্ত্রোপচারের সেলাই কাটা হয়নি। লাঠিতে ভর দিয়ে চলাফেলা করতে হচ্ছে ।



























