মঙ্গলবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৫

|১১ কার্তিক ১৪৩২

শীর্ষ সংবাদ:

প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন: ফরিদা আখতার
সরকারে আস্থার সঙ্কট, তত্ত্বাবধায়কের আদলে ভূমিকার দাবি
জুলাই জাতীয় সনদ ভবিষ্যতের রাজনৈতিক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে থাকবে: ড. মুহাম্মদ ইউনূস
সালমান শাহ হত্যা মামলায় সামিরা হক ও ডনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি
বিএনপি ৩ বছর আগেই সংস্কার শুরু করেছে: মঈন খান
মাহফুজ তার বক্তব্যে প্রমাণ করেছেন, তিনি ওই পদের যোগ্য নন : মাসুদ কামাল
দীর্ঘ লড়াই শেষে প্রাথমিকের ৪৫ প্রধান শিক্ষকের বেতন দশম গ্রেডে
রাজশাহীর বাঘায় চর দখল নিয়ে সংঘর্ষ, গুলিতে নিহত ২
প্রিজন ভ্যানে ওঠার পর দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে পুলিশের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন সাবেক তথ্যমন্ত্রী ও জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু
ক্ষমতায় গেলে আমলাদের দায়িত্ব কমিয়ে আনবে বিএনপি: আমীর খসরু
সংসদ নির্বাচনে চূড়ান্ত ভোটকেন্দ্র ৪২ হাজার ৭৬১
সংবাদপত্র ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলের জন্য সরকারি সুবিধা বাড়ানো হবে: তথ্য উপদেষ্টা

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ২৩:৩৩, ২৭ অক্টোবর ২০২৫

পরীক্ষা ছাড়াই ৪২ জন পেয়েছেন সরকারি চাকরি 

পরীক্ষা ছাড়াই ৪২ জন পেয়েছেন সরকারি চাকরি 
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বারি) বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে কোনো ধরনের পরীক্ষা বা আবেদন ছাড়াই ৪২ জনকে অবৈধভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল এমন তথ্য উদঘাটন করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় বারির সাবেক মহাপরিচালকসহ মোট ৪৪ জনের বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দিয়েছে সংস্থাটি।

দুদকের উপপরিচালক মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, সোমবার (২৭ অক্টোবর) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে এ মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, ২০১৩ সালে বারির বৈজ্ঞানিক সহকারী পদে ২০টি শূন্য পদ পূরণের জন্য লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরীক্ষার ফলাফল ও কোটা বিবেচনায় বাছাই কমিটি ১৮ জন প্রার্থীকে নিয়োগের সুপারিশ করে, যা পরবর্তীতে অনুমোদনও পায়।

তবে পরবর্তী তদন্তে দেখা যায়, সুপারিশকৃত ১৮ জন ছাড়াও অতিরিক্ত ৪২ জনকে অবৈধভাবে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ২৫ জন লিখিত পরীক্ষায় অকৃতকার্য, ১৪ জন মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়নি, আর তিনজন চাকরির জন্য আবেদনই করেননি। অর্থাৎ, নিয়মবহির্ভূতভাবে ৪২ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয় প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে।

দুদকের অনুসন্ধানে জানা যায়, বারির তৎকালীন মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল এবং উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. মোস্তাফিজুর রহমান পরস্পর যোগসাজশে এ অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন। পর্যালোচনার পরই মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়।

মামলার আসামিদের মধ্যে রয়েছেন বারির সাবেক মহাপরিচালক ড. রফিকুল ইসলাম মণ্ডল, সাবেক উপপরিচালক মো. মোস্তাফিজুর রহমান এবং বেআইনিভাবে নিয়োগ পাওয়া ৪২ জন বৈজ্ঞানিক সহকারী।

বর্তমানে অভিযুক্তরা বারির বিভিন্ন গবেষণা কেন্দ্র ও শাখায়, যেমন সরেজমিন গবেষণা কেন্দ্র, উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্র, মসলা গবেষণা কেন্দ্র, বীজ প্রযুক্তি বিভাগ, আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এবং গম-ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে কর্মরত আছেন।

সম্পর্কিত বিষয়:

সর্বশেষ