ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত করল জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী
লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশন (ইউএনআইএফআইএল) জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননে টহলরত শান্তিরক্ষী দলের ওপর আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে উড়তে থাকা একটি ইসরায়েলি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে।
রোববার (২৬ অক্টোবর) সীমান্তবর্তী শহর কফর কিলার কাছে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে ইউএনআইএফআইএল।
বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, ড্রোনটি শান্তিরক্ষী দলের খুব কাছাকাছি চলে আসায় প্রয়োজনীয় প্রতিরক্ষামূলক ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হয় তারা। তবে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, ড্রোনটি তাদের নিয়মিত গোয়েন্দা তৎপরতার অংশ ছিল।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি এক্স (পূর্বের টুইটার)-এ লিখেছেন, ‘ইউএনআইএফআইএল ইচ্ছাকৃতভাবে একটি ড্রোনে গুলি চালিয়েছে, যদিও এটি কোনো হুমকি তৈরি করেনি।’
তিনি আরও জানান, পরে ইসরায়েলি বাহিনী ড্রোনটি যেখানে পড়েছিল সেখানে একটি গ্রেনেড নিক্ষেপ করে, তবে শান্তিরক্ষীদের দিকে কোনো গুলি চালানো হয়নি। ঘটনাটি বর্তমানে সামরিক সমন্বয় চ্যানেলের মাধ্যমে তদন্তাধীন।
ইউএনআইএফআইএল জানিয়েছে, এর পরপরই আরেকটি ইসরায়েলি ড্রোন কাছাকাছি এলাকায় একটি গ্রেনেড ফেলে এবং কিছু সময়ের মধ্যে একটি ইসরায়েলি ট্যাংক শান্তিরক্ষীদের দিকে গুলি চালায়। সৌভাগ্যক্রমে কেউ আহত হননি।
গত বছরের নভেম্বরে যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েল নিয়মিতভাবে লেবাননের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে ড্রোন ও বিমান হামলা চালিয়ে আসছে। ইসরায়েল দাবি করে, এসব অভিযানের লক্ষ্য হিজবুল্লাহর পুনর্গঠন রোধ করা। তবে জাতিসংঘ ও লেবানন সরকার বলছে, এসব অভিযান লেবাননের সার্বভৌমত্ব ও যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করছে।
১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত ইউএনআইএফআইএলের হাতে ইসরায়েলি ড্রোন ভূপাতিত হওয়ার ঘটনা খুবই বিরল। সর্বশেষ এমন ঘটনা ঘটে ২০২৪ সালের অক্টোবরে, যখন ইউনিফিলের অংশ হিসেবে থাকা একটি জার্মান নৌযান লেবাননের উপকূলে একটি ড্রোন আটক করেছিল।
বিবিসির এক প্রতিবেদনে সোমবার (২৭ অক্টোবর) বলা হয়, সাম্প্রতিক ঘটনাটি সীমান্তজুড়ে উত্তেজনা বাড়িয়েছে। আগামী সপ্তাহে মার্কিন, ফরাসি ও আরব কূটনীতিকদের বৈঠকে যুদ্ধবিরতি পুনরুজ্জীবিত করা এবং দক্ষিণ লেবাননে রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ জোরদারের উপায় নিয়ে আলোচনা হবে।



























