ট্রাম্প-সির বৈঠকের আগে যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য চুক্তির খসড়া চূড়ান্ত 

যুক্তরাষ্ট্র ও চীন সম্ভাব্য এক বাণিজ্য চুক্তির প্রাথমিক কাঠামো বা ফ্রেমওয়ার্কে একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট। তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহের শেষ দিকে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও চীনা প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের বৈঠকে এই চুক্তির বিস্তারিত আলোচনা হবে।

বেসেন্ট মার্কিন গণমাধ্যম সিবিএসকে জানিয়েছেন, চুক্তিতে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্র শাখা নিয়েও ‘চূড়ান্ত সমঝোতা’ হয়েছে। এছাড়া চীন তাদের বিরল খনিজ রপ্তানির কড়াকড়ি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখবে।

তিনি আরও বলেন, ট্রাম্পের দেওয়া হুমকি অনুযায়ী চীনা পণ্যের ওপর ১০০ শতাংশ শুল্ক কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা নেই। একই সঙ্গে চীন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আবারও সয়াবিন আমদানি শুরু করবে।

বেসেন্ট জানিয়েছেন, দুই নেতার আলোচনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামোয় পৌঁছানো গেছে, ফলে শুল্ক আরোপ আপাতত ঠেকানো হয়েছে। তবে জানুয়ারি থেকে ট্রাম্প বিদেশি আমদানির ওপর শুল্ক আরও বাড়ানোর হুমকি দিয়েছেন।

চীনের বিরল খনিজ রপ্তানির বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। চীন বিশ্বের প্রায় ৯০ শতাংশ বিরল খনিজ উপাদান প্রক্রিয়াজাত করে, যা স্মার্টফোন, সৌর প্যানেল ও ইলেকট্রনিক যন্ত্রাংশ তৈরিতে অপরিহার্য। বেসেন্ট জানিয়েছেন, চীন রপ্তানির কড়াকড়ি এক বছরের জন্য স্থগিত রাখবে।

অন্যদিকে সয়াবিন বাণিজ্যেও সমঝোতা হয়েছে। চীন আগস্টে যুক্তরাষ্ট্র থেকে সব সয়াবিন অর্ডার স্থগিত করেছিল, যা মার্কিন কৃষকদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছিল। বেসেন্ট বলেন, “আমি একজন সয়াবিনচাষি, তাই কৃষকদের উদ্বেগ বুঝতে পারি। আমরা বিষয়টি সমাধান করেছি।”

টিকটকের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রে কার্যক্রম নিয়ে চূড়ান্ত চুক্তি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও সি চিন পিং বৃহস্পতিবার বৈঠকে এই চুক্তি আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন করবেন। এর আগে জাতীয় নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে টিকটকের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তবে আলোচনার সুবিধার্থে নিষেধাজ্ঞা স্থগিত রাখা হয়েছে।