পাক-আফগান সীমান্তে সংঘর্ষে নিহত ৩০
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে চলমান শান্তি আলোচনার মধ্যেই পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী এলাকায় ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, এ সংঘর্ষে তাদের পাঁচ সৈন্য এবং ২৫ জঙ্গি নিহত হয়েছেন। এই তথ্য প্রকাশ করেছে পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
আইএসপিআরের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার আফগান ভূখণ্ড থেকে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানের কুররাম ও উত্তর ওয়াজিরিস্তান জেলায় জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন। পাকিস্তানের সীমান্তবর্তী দুর্গম এলাকায় সেনাবাহিনীর তৎপরতায় তাদের এই প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়। পাকিস্তান এই ঘটনার পেছনে আফগান সরকারের ভূমিকার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, বিশেষ করে আফগান সরকারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাস দমন প্রতিশ্রুতি থাকা সত্ত্বেও।
তবে আফগানিস্তানের তালেবান সরকারের পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তালেবান বরাবরই পাকিস্তানের অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছে এবং পাকিস্তানের সীমান্ত অভিযানের বিষয়টি আফগান সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচনা করে।
চলতি মাসের শুরুতে দুই দেশের সেনাদের মধ্যে সংঘর্ষের পর ইস্তাম্বুলে সীমান্ত উত্তেজনা প্রশমন ও শান্তি আলোচনার আয়োজন করা হয়। ২০২১ সালে তালেবান কাবুল দখলের পর এটি দুই প্রতিবেশীর মধ্যে সবচেয়ে প্রাণঘাতী সীমান্ত সংঘাত।
পাকিস্তান সরকার আফগান ভূখণ্ডে অবস্থানরত জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ ও সীমান্ত পেরিয়ে হামলা প্রতিরোধে দীর্ঘদিন ধরেই কাবুলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে। সম্প্রতি জঙ্গি হামলায় ২৩ সৈন্য নিহত হওয়ার পর পাকিস্তান কাবুল ও অন্য প্রদেশে বিমান হামলা চালায়। এরপর দুই পক্ষের সৈন্যদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
রোববার দোহায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলেও পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ সতর্ক করেছেন, ইস্তাম্বুলে যদি চূড়ান্ত সমঝোতা না হয়, তাহলে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু হতে পারে।
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী জানায়, সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিরা ‘‘ফিতনা আল খারিজ’’ গোষ্ঠীর সদস্য, যারা উগ্রপন্থী মতাদর্শে প্রভাবিত এবং বিদেশি সহায়তা গ্রহণ করে।
সূত্র: এএফপি, রয়টার্স



























