জানুয়ারির পর যুক্তরাষ্ট্রে সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি
যুক্তরাষ্ট্রে জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সেপ্টেম্বর মাসে ভোক্তা পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৩ শতাংশ। যদিও অর্থনীতিবিদরা যে পূর্বাভাস দিয়েছিলেন, তার চেয়ে সামান্য কম এই হার। আগের মাসে, অর্থাৎ আগস্টে মুদ্রাস্ফীতি ছিল ২.৯ শতাংশ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আমদানিকৃত পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপ এবং বাজারে মূল্যবৃদ্ধির ধারাবাহিকতার কারণে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক নীতির সঙ্গে এই সময়কাল মিলে গেছে।
তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে গরুর মাংসের দাম প্রায় ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। স্থানীয় খামারিরা এ নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তবে ডিমের দাম কমেছে, সেপ্টেম্বর মাসে ডিমের দাম ৫ শতাংশ কমে গেছে, যা এক বছর আগের তুলনায় প্রায় ১ শতাংশ কম। অন্যদিকে, কফির দাম বেড়ে ১৯ শতাংশে পৌঁছেছে, যা সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন ব্যয়ের ওপর চাপ তৈরি করছে।
হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, অর্থনীতিবিদদের অনুমানের চেয়ে মুদ্রাস্ফীতি কম আসায় এটি ‘আমেরিকান পরিবারগুলোর জন্য সুখবর’। তবে প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট জানিয়েছে, চলমান সরকারি শাটডাউনের কারণে অক্টোবর মাসের নতুন কোনো মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশ নাও হতে পারে, যা বাজার ও ব্যবসা খাতে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করবে।
মুদ্রাস্ফীতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কর্মসংস্থান কমে যাওয়ায় অর্থনীতিকে ‘স্ট্যাগফ্লেশন’-এর ঝুঁকিতে ফেলেছে। ফেডারেল রিজার্ভের জন্য এটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতি তৈরি করেছে। সুদের হার বাড়ালে অর্থনীতি মন্থর হয়ে যাবে, আবার হার কমালে ব্যয় বাড়বে এবং মুদ্রাস্ফীতি আরও ত্বরান্বিত হবে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সেপ্টেম্বরে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ায় ফেডের পরবর্তী সভায় হার কমানোর সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করতে হতে পারে। শুল্কনীতি এ বাড়ার আংশিক কারণ হলেও মূলত আবাসন ও খাদ্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়া প্রধান কারণ। এর পাশাপাশি, চীন থেকে আমদানি করা সব পণ্যের ওপর নভেম্বর থেকে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের হুমকি বাজারে নতুন অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি এখন এক কঠিন ভারসাম্যের সন্ধানে রয়েছে।
সদ্য সংবাদ/এমটি



























