আলমারিতে কিশোরীর মরদেহ, বাবা-মাকে পুলিশের সামনেই মারধর
সোমবার (২০ অক্টোবর) রাতে কলকাতার আলিপুরে বিদ্যাসাগর এলাকার একটি বাড়ি থেকে ১০ বছরের এক কিশোরীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেন কলকাতা পুলিশ।
জানা যায়, কিশোরীর সৎমা প্রথম দেখতে পান তার ঝুলন্ত মরদেহ। পরবর্তীতে উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় পুলিশ।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, এটি আত্মহত্যা নয়, খুন। এবং পুলিশের সামনেই মৃত স্কুলছাত্রীর বাবা-মাকে মারধর করেন তারা।
তাঁদের দাবি, আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের ভাগ্নি ছিল ওই মেয়েটি। মায়ের মৃত্যুর পরে তার বাবা আবার বিয়ে করেন। সৎমা এবং বাবা মেয়েটিকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছেন । খুনের অভিযোগ করছেন কিশোরীর ঠাকুরমাও।
মেয়েটির মা সৎমা) দাবি করেন, তিনি বাজারে গিয়েছিলেন। বাড়িতে একাই ছিল মেয়ে। বাড়ি ফিরে মেয়েকে কোথাও দেখতে পাননি। পরে ঘরের একটি আলমারি খুলতেই চমকে যান তিনি। দেখেন, আলমারির ভিতরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল পুলিশ। দেহ উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্ত করা হয়। আত্মহত্যা নাকি খুন এ নিয়ে তদন্ত করছে কলকাতা পুলিশ।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সঞ্জয়ের এক বোনের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আলিপুরের যুবকের। তাঁদের এক সন্তান। তবে স্ত্রীর মৃত্যুর পর শ্যালিকাকে (সঞ্জয়ের আর এক বোন) বিয়ে করেন ওই যুবক। মাসি সৎমা হয়ে এসে মেয়েটির উপর নির্যাতন করতেন বলে দাবি করেন প্রতিবেশীরা। তাঁদের কথায়, ‘‘যখন তখন মেয়েটিকে মারধর করা হত। ওকে কান্নাকাটি করতে শোনা যেত। বাবা এবং সৎমা, দু’জনেই নাবালিকাকে মারধর করতেন।’’
কলকাতা পুলিশ জানান, ঘর থেকে কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়নি। তাই আত্মহত্যা না খুন, সে নিয়ে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে প্রাথমিক তদন্তে জানা যাচ্ছে, পড়াশোনা করছিল না বলে মেয়েকে বকেছিলেন মা। মায়ের উপর অভিমান থেকে কি আত্মহত্যা করতে পারে নাবালিকা? সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। অন্য দিকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
সদ্য সংবাদ/এসএইচ



























