রোববার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

|৩০ কার্তিক ১৪৩২

সদ্য সংবাদ অনলাইন

প্রকাশিত: ১৭:৩৩, ২ অক্টোবর ২০২৫

জাতিসংঘের বিশেষ দূত

গাজায় ছোট নৌকা পৌঁছাতে পারলে, বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন নয়?

গাজায় ছোট নৌকা পৌঁছাতে পারলে, বিভিন্ন দেশের সুসজ্জিত নৌবাহিনী কেন নয়?
ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘের অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি ফ্রান্সেসকা আলবানিজ ইসরায়েলের আরোপিত নৌ-অবরোধের বৈধতা ও কার্যকারিতা নিয়ে কঠিন প্রশ্ন তুলেছেন। একইসঙ্গে বিশ্বের ক্ষমতাধর রাষ্ট্রগুলোর নীরবতাও তিনি কড়াভাবে সমালোচনা করেছেন।

বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আলবানিজ জানতে চেয়েছেন—যখন বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে মানবাধিকার কর্মীরা সীমিত সম্পদের ছোট ছোট নৌকা নিয়ে গাজার উদ্দেশে যাত্রা করছেন এবং ইসরায়েলি অবরোধ ভেঙে অন্তত কাছাকাছি পৌঁছাতে পারছেন, তখন শক্তিশালী নৌবাহিনী থাকা রাষ্ট্রগুলো কেন একই কাজ করতে পারছে না?

তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে লিখেছেন,  ‘যখন সাধারণ মানুষ ছোট ও সামান্য সম্পদের নৌকা নিয়ে গাজার ৬০ নটিক্যাল মাইল (প্রায় ১১১ কিলোমিটার) দূরত্ব পর্যন্ত পৌঁছে যাচ্ছে, তখন বিশ্বের সুসজ্জিত নৌবাহিনীসমৃদ্ধ রাষ্ট্রগুলো কেন ইসরায়েলি অবরোধ ভাঙতে ব্যর্থ? এটাই এখন বড় প্রশ্ন।’

তার বক্তব্যে আরও উঠে আসে, ‘রাষ্ট্রগুলো কেন তাদের নৌবাহিনী দিয়ে অবরোধ ভাঙছে না? আমরা কেমন পৃথিবীতে বাস করছি? না, আমরা এটিকে মেনে নিতে পারি না।’ ফ্লোটিলার নিরাপদ যাত্রা কামনা করে তিনি লেখেন, ‘চলো, এগিয়ে যাও ফ্লোটিলা। নিরাপদে পৌঁছাও, সৃষ্টিকর্তা তোমাদের রক্ষা করুন।’

প্রসঙ্গত, বুধবার গাজার উপকূল থেকে কিছুটা দূরে ১৩টি নৌকা আটক করে ইসরায়েলি বাহিনী। মানবাধিকার কর্মীরা অভিযোগ করেন, গাজার উপকূল থেকে মাত্র ৪৬ নটিক্যাল মাইল দূরে নৌকাগুলো থামিয়ে দেওয়া হয়। এরপর লাইভ সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায় এবং যাত্রীদের সঙ্গে আর যোগাযোগ রাখা সম্ভব হয়নি। এ বিষয়ে ইসরায়েলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

তবে মানবাধিকার কর্মীরা জানিয়েছেন, আটক হওয়া ১৩টি নৌকার বাইরে এখনও অন্তত ৩০টি নৌকা গাজার পথে রয়েছে। এসব নৌযান গাজায় খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী নিয়ে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে।

সম্পর্কিত বিষয়: