বিমানে ঘুমন্ত কিশোরীকে ধর্ষণ ভারতীয় ব্যবসায়ীর

মুম্বাই থেকে সুইজারল্যান্ডের জুরিখে যাচ্ছিলেন একটি বিমান। আর সেই বিমানে ঘটে গেল এক ভয়াবহ ঘটনা যা কেউ কল্পনা করতে পারবে না। এক ভারতীয় যাত্রীর বিরুদ্ধে ঘুমন্ত এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। সেই দায় প্রমাণ হলে সুইজারল্যান্ড সরকার অভিযুক্তকে কারাদণ্ড না দিয়ে ভারতে ফেরত পাঠিয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্য জানিয়েছে, গত ১৭ মার্চ আন্তর্জাতিক ফ্লাইটে ঘুমন্ত অবস্থায় ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের কথা আদালতে স্বীকার কেন ৪৪ বছর বয়সী ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী। তিনি দাবি করেন ৯ ঘণ্টার ভ্রমনের সময় পাশে ঘুমিয়ে থাকা কিশোরীকে দেখে নিজেকে 'নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারেননি'। আদালতের নথি অনুসারে, ঘুমিয়ে পড়ার আগে কিশোরীটি লোকটির সঙ্গে কিছুক্ষণ কথাও বলেছিল।
জুরিখের পাবলিক প্রসিকিউটরের অফিস ফর সিরিয়াস ভায়োলেন্ট ক্রাইমের দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, লোকটি কিশোরীর শরীরে স্পর্শ করে। তাতে মেয়েটি হতবাক হলেও সে কথা বলা বা প্রতিরোধ করতে পারেনি। এরপর এ ধরণের ঘৃণ্য কার্যকলাপ চালিয়ে যায় লোকটি এবং মেয়েটিকে ধর্ষণ করে।
মেয়েটি যখন ঘটনাটি বুঝতে পেরেছিল তখনই সে একজন বিমান পরিচারিকাকে ঘটনাটি জানায়। এরপর তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। মেয়েটিকে অন্য আসনে সরিয়ে নিয়ে লোকটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। বিমানটি জুরিখে অবতরণের সঙ্গে সঙ্গেই লোকটিকে আটক হয়।
ভারতীয় নাগরিককে সুইজারল্যান্ডে ৫ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কিশোরীদের সঙ্গে জড়িত যে কোনো কার্যকলাপে আজীবনের জন্য অংশ নিতে নিষেধ করা হয়েছে। তাকে ৮ হাজার ২০০ পাউন্ড আইনি খরচও দিতে বলা হয়েছে। লোকটিকে ভারতে বহিষ্কারের জন্য সুইস মাইগ্রেশন অফিসে হস্তান্তর করা হয়েছে।