পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত অন্তত ৫

পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডির কোয়েটার জারঘুন রোডে ফেডারেল আধা-সামরিক বাহিনী ‘ফেডারেল কনস্ট্যাবুলারি’ (এফসি) সদর দফতরের কাছে আজ মঙ্গলবার দুপুরে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কমপক্ষে পাঁচজন নিহত এবং ২০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। বিস্ফোরণের পরপরই তীব্র গুলিবিনিময় শুরু হয়, যা পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। খবর জিও টিভি।
নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, বিস্ফোরণটি ছিল আত্মঘাতী হামলা। ভারতে পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া সন্ত্রাসীরা এফসি সদস্যদের পোশাক পরে একটি বিস্ফোরকভর্তি গাড়ি সদর দফতরের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়। গাড়িটি চালাচ্ছিল আত্মঘাতী হামলাকারী, আর তার সঙ্গে থাকা পাঁচজন সন্ত্রাসী ভবনে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে নিরাপত্তা বাহিনীর তাৎক্ষণিক ও কার্যকর অভিযানে আত্মঘাতী হামলাকারীসহ মোট ছয় সন্ত্রাসী নিহত হয়। এ ঘটনায় অন্তত দুইজন এফসি সদস্য আহত হয়েছেন। এলাকা ঘিরে ক্লিয়ারেন্স অপারেশন চালানো হয়।
প্রাথমিকভাবে পুলিশের প্রতিবেদনে তিনজন নিহত ও এক ডজনের বেশি আহত হওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তবে সিভিল হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট ডা. আবদুল হাদি পরে নিশ্চিত করেন, মৃতের সংখ্যা বেড়ে পাঁচে দাঁড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা ২০ ছাড়িয়েছে। তিনি জানান, সব হতাহতই সাধারণ মানুষ।
وزیر اعلیٰ بلوچستان میر سرفراز بگٹی کی کوئٹہ دھماکے کی شدید مذمت۔
— Govt. of Balochistan (@dpr_gob) September 30, 2025
واقعہ کے بعد سیکورٹی فورسز نے فوری اور مؤثر ردعمل دیا، سیکورٹی فورسز نے چار دہشتگردوں کو جہنم واصل کیا۔ دہشت گرد بزدلانہ کارروائیوں سے قوم کا حوصلہ پست نہیں کرسکتے۔ عوام اور سکیورٹی اداروں کی قربانیاں رائیگاں نہیں…
জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় সিভিল হাসপাতাল, বোলান মেডিকেল কলেজ (বিএমসি) এবং ট্রমা সেন্টারে উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়। স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র জানান, সংশ্লিষ্ট সব কনসালট্যান্ট, চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, নার্স এবং প্যারামেডিক কর্মীদের হাসপাতালে ডাকা হয়েছে।
রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি আত্মঘাতী এ হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেন, সন্ত্রাসীরা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। একইসঙ্গে তিনি নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপের প্রশংসা করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও নিরাপত্তা বাহিনীকে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য অভিনন্দন জানান এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন। তিনি প্রতিশ্রুতি দেন যে পাকিস্তানের অখণ্ডতা নষ্টের অপচেষ্টাকারীদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে এবং দেশ থেকে সন্ত্রাসবাদ নির্মূলের সংকল্প পুনর্ব্যক্ত করেন।
বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, নিরাপত্তা বাহিনীর দ্রুত পদক্ষেপের ফলে সব সন্ত্রাসীকে তাৎক্ষণিকভাবে নির্মূল করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “এ ধরনের কাপুরুষোচিত হামলা পাকিস্তানি জাতির মনোবল ভাঙতে পারবে না। জনগণ ও নিরাপত্তা বাহিনীর ত্যাগ কখনো বৃথা যাবে না। আমরা বেলুচিস্তানকে শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ প্রদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
তিনি শহীদ পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করেন।